বিএনপিতে কোনো দালালের জায়গা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা (ঢাকা-৩) জাসাস'র সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির স্বার্থে বিএনপি করতে হবে। আর যারা নিজের স্বার্থে বিএনপি করতে চান তারা ঘরে বসে থাকুন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করে অন্যায়ভাবে বাড়িগাড়ির মালিক কেউ যদি হতে চান তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
ক্ষণিকের জন্য ভালো থাকতে দলের যারা সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির সাথে ঘোরাফেরা করেন তাদেরকে সতর্ক করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক পুঁজি নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা কটুক্তি করে। ওদের রাজনৈতিক পুঁজি থাকলে এসব বলতে হতো না। বিদ্যুতের উন্নতি আমরা দেখতেছি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে আসল কথা না বলে নকল কথা বলছেন। তারা মনে করছে, আমাদের ঠকাইতেছে। আসলে মনের অজান্তে তারাই ঠকতেছে। পাপের বোঝা তাদের ভারী হচ্ছে। আওয়ামী লীগর পতন অনিবার্য।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের হাতে একটা অস্ত্র আছে, তা হচ্ছে আমরা শুধুমাত্র এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। আর যারা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ডানেবামে ঘোরাফেরা করবেন, ঘরতো সোজা করতে পারব। বাইরে না হয় না পারলাম। এই কাজটা করতে কেউ দিধা করবেন না। কোনো দালালের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার জায়গা বিএনপির নয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি জনগণের ভাগ্য, স্বার্থ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তারেক রহমানের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, খালেদা জিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সফতার মধ্য দিয়ে '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আমরা প্রতিষ্ঠিত করব। এই আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলনে সহযোদ্ধার প্রতি দরদ না থাকলে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায় না। যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে লোভ লালসা ত্যাগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ভোগ ভোগান্তি বাড়ায়; ত্যাগ মানুষকে মহৎ করে। আশা করি ত্যাগের মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব সফল আন্দোলনে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে পারব। সেই কারণে আবার বলছি, তাড়াও হাসিনা, বাঁচাও দেশ; টেক ব্যাক বাংলাদেশ।
উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিকাল চন্দ্র সরকারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদুল আলম হিটো, ফরহাদ হোসেন নিয়ন, এবিএম সোহেল রশিদ, এনামুল হক জুয়েল, মাজহারুল ইসলাম খান পায়েল, আহসান হাবীব, ঢাকা মহানগরের আনোয়ার হোসেন আনু, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।