Can't found in the image content. উপহারের ঘরে পানি, নিউজ করায় সাংবাদিকে ইউএনওর গালিগালাজ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

উপহারের ঘরে পানি, নিউজ করায় সাংবাদিকে ইউএনওর গালিগালাজ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ২২, ২০২২

উপহারের ঘরে পানি, নিউজ করায় সাংবাদিকে ইউএনওর গালিগালাজ
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলায় প্রধানমন্ত্রীর ঘরে পানি উঠে তলীয়ে গেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঢাকাপোস্টের প্রতিনিধি সাইদুল ফরহাদ।

সংবাদটি প্রকাশিত হবার পর টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে অফিসিয়াল নাম্বার (01851966966) থেকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। যার অডিও রেকর্ড রয়েছে।

বৃহস্পতিবার  বিকেল ৩টার দিকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর  শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হল:

কক্সবাজার টেকনাফ  উপজেলার একটি সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর পানিতে ভাসছে। ফলে  সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার চরম দুর্ভোগে আছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এমন নিচু জায়গাতে ঘর করা নিয়ে স্থানীয় লোকজন শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিল। তাদের অভিযোগ ছিল, ঘর তৈরিতে মাটির নিচে ইট ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, বালি-রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারে করা হয়েছে। এ জন্য তারা দায়ী করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন  বলেন, অল্প বৃষ্টিতে পানি ঘরে ঢুকে গেছে। রান্নাঘর, যাতায়াত রাস্তা, টিউবওয়েল, বাথরুম পানিতে ডুবে আছে।

এই জলমগ্ন দশা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা চান এই বাসিন্দা। 

মিজান নামক আরেক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর দিছে। অল্প বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে মধ্যে পানি ঢুকে গেছে।  পানিবন্দি হয়ে প্রায় অনাহারে আছি। সাপ বা বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর বাসিন্দা বলেন,  গৃহহীনদের জন্যে দুর্যোগ সহনীয় ঘরগুলো দুর্যোগ আসার আগেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে। খুব নিচু জায়গায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী  হুমায়ুন রশিদ তার ফেসবুকে প্রোফাইলে এই ২৭পরিবারের ভোগান্তির কথা তুলে ধরলে মুহূর্তে নিন্দার ঝড় ওঠে । 
তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, টেকনাফ হ্নীলা হোয়াব্রাং মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বস্তির চেয়ে ২৭পরিবারের ভোগান্তি বেশী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদেক্ষপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপেক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।

এই বিষয়ে জানতে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, বন্যা যখন আসছে মুজিববর্ষের ঘর গুলো চেনেনি হয়তোবা ও  আশপাশের ঘরগুলো দেখেনি শুধু দেখেছে মুজিববর্ষের ঘর গুলো। একটা চুর, আরেকটি সাংবাদিক, হলুদ সাংবাদিক ও ইয়াবার সাথে জড়িত এমন সাংবাদিক আমাদের ব্লেকমেইল করার চেষ্টা করতেছে। এগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা। এই বলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন।