শ্রীলংকান বিক্ষোভকারীরা বলছেন, কলম্বো সাইটে সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। এ ঘটনায় তাদের নেতাসহ শতাধিক বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে শ্রীলংকা সেনাবাহিনী রাজধানীতে রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনারা সংলগ্ন গোটাগোগামা প্রতিবাদস্থলে তাঁবু ধ্বংস করেছে, বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে এবং প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্প থেকে সরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক হামলা হয়।
শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি সচিবালয় থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
নিপুন চারকা জয়সেকারা নামে একজন তরুণ বিক্ষোভকারী আলজাজিরাকে বলেন, আনুমানিক মধ্যরাতের দিকে আমরা শুনলাম যে সেনাবাহিনীর একটি বিশাল দল গোটাগোগামার দিকে যাচ্ছে এবং হঠাৎ আমরা তাদের রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ে ছুটে যেতে দেখলাম।
তিনি আরও বলেন, শিগগিরই তারা এলাকাটি ঘেরাও করে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের নির্মমভাবে আক্রমণ করে যেন আমরা গুণ্ডা।
শ্রীলংকায় ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পালিয়ে যান। এর পর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত এবং পরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিক্রমাসিংহে।
তবে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি সাধারণ বিক্ষোভকারীরা।
জানা গেছে, তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে তুলতে জড়ো হচ্ছেন সাধারণ বিক্ষোভকারীরা। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়েছেন তাদের কঠোর হস্তে দমন করবেন।