প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতির স্বার্থে দেশে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, থাকবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইসির সংলাপে বসেছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে ইসি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংলাপের কয়েকটি পর্ব শেষ হয়েছে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের কথা আমরা পুনর্ব্যক্ত করে যাচ্ছি। সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে। এতে করে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থশক্তির বৈভব ও পেশিশক্তির প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এটা আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
এদিন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে সংলাপে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে। এছাড়া সিইসির সঙ্গে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে অংশ নেন।
১৭ জুলাই শুরু হওয়া এ ধারবাহিক সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিনই চারটি করে দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দিন তিনটি দলের সঙ্গে বসার কথা ছিল ইসির। গতকাল বুধবার নির্ধারিত দিনে বাংলাদেশ গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সংলাপে বসলেও আসেনি বিএনপি।
সংলাপের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ইসির সঙ্গে বসবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ওইদিন দুটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে।