Can't found in the image content. ঝালকাঠিতে রাতভর জ্বলছিলো ঝলমলে বাতির সাইনবোর্ড | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

ঝালকাঠিতে রাতভর জ্বলছিলো ঝলমলে বাতির সাইনবোর্ড

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, জুলাই ২০, ২০২২

ঝালকাঠিতে রাতভর জ্বলছিলো  ঝলমলে বাতির সাইনবোর্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে গত রাত (১৯জুলাই) আটটার পর ঝালকাঠিতে দোকানপাট, বিপণি-বিতান, মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এর আগে বিকেল থেকে শহরে মাইকিং করে জানানো হয়েছে রাত আটটার পর সরকারী আদেশ অমান্যকারীদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।

কিন্তু এই শহরে রাতভর জ্বলছিলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের বিশালাকার নিয়নবাতির সাইনবোর্ড। অনেক সাইনবোর্ডের ভিতরে চারফুট সাইজের (৪০ ওয়ার্ড) ৫০ টির অধিক নিয়ন বাতি (টিউবলাইট) বসানো ছিলো। যা রাতভর জ্বলছিলো।

রাত ১১টায় শহর ঘুরে দেখা যায় খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বড় সাইনবোর্ডসহ জ্বলছিলো বাগান সৌন্দর্যবর্ধনের ২০টির অধিক ঝলমলে রঙিন বাতি। 

কামারপট্টি সড়কে মাদকনিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের নিয়ন সাইন। এছাড়া কুমারপট্টি সড়ক, কাপুড়িয়া পট্টি সড়ক, কাশারীপট্টি সড়ক, ডাক্তারপট্টি সড়ক ঘুরে দেখায়ায় সরকারি ও বেসরকারি অনেক ব্যাকের বিশালাকারের লাইটিং সাইনবোর্ড জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। 

তবে ছিলোনা কোনো অভিযান বা মনিটরিং। শুধু মাইকে ঘোষনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ীরা। কসমেটিক্স ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, 'সন্ধ্যা হয় সাতটায় সরকারের ঘোষনা মানতে আটটার মধ্যেই আমরা দোকানপাঠ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংকগুলো সরকারী ঘোষনা কর্ণপাত করেনি। এদেরকে জরিমানার আওতায় আনা উচিত।'

কাপড় ব্যবসায়ী শামীম শরীফ বলেন, 'করোনাকালীণ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সবসময় বিভিন্নরকম সরকারী বিধি-নিষেধ মানতে গিয়ে ক্ষুদ্র  ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমানে আর্থিক ক্ষতিতে পরেছে।'
আজকের ঘটনায় ব্যাংকের কর্তারা প্রমান করেছে তারা সরকারের উর্ধে।'

রাত অধিক হওয়ায় জেলা প্রশাসকসহ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে কথাহয় পুবালী ব্যাংক লিমিটেড এর ঝালকাঠি শাখা ব্যবস্থাপক পরিমল চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে। তিনি বলেন, 'আমি এখনই নাইডগার্ডকে ফোন করে বলছি সাইনবোর্ডের বাতি বন্ধ করার জন্য।

রাতে একাধিকবার কল করেও ওজোপাডিকো ঝালকাঠির নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মুঠোফোন রিসিফ করেননি।

জেলাপ্রশাসক মো. জোহর আলীকে এবিষয়ে মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তার কাছ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।