ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সনদ বিতরণে অর্থ দাবি ও সনদ নিতে আসা অভিভাবকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগী অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আধারকোঠা এলাকায় অবস্থিত আল হাসান মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে আসমা নামে একজন শিক্ষার্থী ২০১৯ সালে জেডিসি পাস করেন। রবিবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সাখাওয়াত শেখ মেয়ের জেডিসি সনদ আনতে মাদ্রাসায় যান। এ সময় ওই মাদ্রাসার সুপার এম এ কুদ্দুস তার নিকট সনদ বাবদ এক হাজার টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে সুপার অভিভাবকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন। পরে অভিভাবক মো. সাখাওয়াত শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই ছাত্রীর বড় বোন রাবেয়া বলেন, বাবার সাথে আমি ওই মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। সনদ চাইলে সুপার সাহেব সনদ বাবদ এক হাজার টাকা চান। আমরা পাঁচশ টাকা পর্যন্ত দিতে চাই। কিন্তু তিনি রাগ করে আমাদের সাথে বাজে ব্যবহার করে সনদ আলমারির মধ্যে আটকে রাখেন। রাবেয়া আরো বলেন, ওই সুপারের জন্য আমার অন্য বোনেরও শিক্ষা জীবনের ক্ষতি হয়েছে। সে সময় সুপার বলেন, টাকা নাইতো সনদ নাই। তারপর আমরা মাদ্রাসা থেকে চলে আসি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা সুপার এম এ কুদ্দুস বলেন, সনদ বাবদ আমি কোন টাকা চাইনি। ওই অভিভাবককে বলেছি যার সনদ তাকে নিয়ে আসুন।
আল হাসান মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহজাহান মীরদাহ পিকুল বলেন, অভিযোগের কপি আমিও পেয়েছি। কমিটির মিটিংয়ে অভিযোগ প্রমানিত হলে সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।