ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

নামাজের সময় ছাড়া মসজিদে এসি বন্ধ রাখার অনুরোধ

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ১৮, ২০২২

নামাজের সময় ছাড়া মসজিদে এসি বন্ধ রাখার অনুরোধ

ফাইল ছবি

নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় মসজিদে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) ব্যবহার না করার অনুরোধ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি আজ সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আমাদের হয়তো দিনে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। সেই ঘাটতি মেটাতে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টার মতো লোডশেডিং করা হবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা এক সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখব। যদি এতেই আমাদের সাফিসিয়েন্ট মনে হয়, তাহলে তো সমস্যা নেই। নইলে আরও এক ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করা হতে পারে। এর পাশাপাশি আমাদের সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।'

লোডশেডিংয়ের সময় যেন আগে থেকেই গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো কাজ করছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'ইউরোপের প্রত্যেকটা দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে বিভিন্ন রকম মেকানিজমে গেছে। আমরাও যদি সবাই মিলে চেষ্টা করি… যানবাহনের ক্ষেত্রে যদি কিছুটা কম ব্যববহার করি, সরকারি মিটিং যেগুলো হয় অনলাইন করে ফেলি তাহলে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার কমবে।'

এসব সিদ্ধান্ত সাময়িক সময়ের জন্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিপিসি আমাদের জানিয়েছে যে তাদের তেলের মূল্যবৃদ্ধি করতে হবে। কিন্তু প্রাইস অ্যাডজাস্ট করলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা কতটুকু সাশ্রয়ী হয়ে চলতে পারি, সেটা দেখছি। সরকার তো আগে থেকেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে। এখন যে হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, এই ভর্তুকি দেওয়াটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।'

মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে এসির ব্যবহার কমানো, যত্রতত্র সরকারি অফিসগুলোতে এসি না চালানো, সরকারি গাড়িতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমানো ও অনলাইনে মিটিং করার সিদ্ধান্তের দিকে সরকার যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পেট্রোল পাম্প সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, 'এ ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। পেট্রোল পাম্পের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

ঈদের সময় গ্রামাঞ্চলে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নসরুল হামিদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'হয়তো কিছু কিছু স্থানে সমস্যা ছিল। গ্রামাঞ্চলে অনেক দীর্ঘ লাইন। একটা জায়গায় সমস্যা হলে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না।'

তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ যাতে নিরবিচ্ছিন্ন থাকে, সে বিষয়ে প্রাধান্য দেওয়া হবে।