মাদারীপুরের কালকিনিতে মোঃ মাসুদ মোল্লা-(৪০) নামে এক ওয়ারেন্ট ভূক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ শুক্রবার গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই আসামীর বিরুদ্ধে একটি শিশু হত্যা ও একটি নারী শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে। তবে আসামী মাসুদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়েছে নারী শিশু মামলায়।
মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিন গোপালপুর গ্রামের মজিদ সরদারের মেয়ে লামিয়ার সঙ্গে কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি স্থাল গ্রামের সেকান্দার মোল্লার ছেলে খোকন মোল্লার ২০১৭ইং সালের এপ্রিল মাসের ৮তারিখ পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
লামিয়াকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য তার স্বামী খোকন, ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালায়। যৌতুক লোভী স্বামী খোকন, তার ভাই মারুফ ও মাসুদসহ বেশ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে একটি নারী শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে ওই গৃহবধু লামিয়া।
মামলার কথা জেনে আসামীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। এতে করে আদালত স্বামী খোকন ও ভাই মাসুদসহ কয়েক জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
কালকিনি থানার এসআই শাখাওয়াত হোসেন ও এএসআই সোহাগ হোসেন ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে পলাতক অবস্থায় মাসুদকে আলীনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
এদিকে ওই আসামীরা মিলে গৃহবধু লামিয়ার দেড় বছরের শিশু পুত্র সন্তান ওমর ফারুককে গত মে মাসের ১৮ তারিখ পানিতে ফেলে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহতের মা লামিয়া বাদী হয়ে আদালতে স্বামী খোকন, তার ভাই কালাচান, ও মাসুদসহ ৫জনের নামে আরো একটি হত্যা মমলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার বাদি লামিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করছেন এবং বিয়ের পর যৌতুক লোভী স্বামী রহিমা নামের এক জন নারীকে পূনরায় বিয়ে করেন। তাই আমি তাদের নামে মামলা করেছি।
আমার সংসারে একটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান ছিল। কিন্তু আমার স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার দেড় বছরের শিশু পুত্র সন্তান ওমর ফারুককে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। তাই আমি বাদী হয়ে আদালতে তাদের নামে আরো একটি হত্যা মমলা দায়ের করেছি। আমি আসামীদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি তদন্ত মোঃ নাসিরউদ্দিন বলেন, গ্রেফতাকৃত আসামী মাসুদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি নারী শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে। তবে ওয়ারেন্ট হয়েছে নারী শিশু মামলায়। তাই আসামী মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলছে।