ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, অক্টোবর ৭, ২০২৪ |

EN

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুই মামলায় দুজনের কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৪, ২০২২

কুষ্টিয়ায় পৃথক দুই মামলায় দুজনের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুই মামলায় সফিকুল আলম (৪৮) ও শাহিন শাহ (৩২) নামের দুই আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

মাদক মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সফিকুল আলম কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার মীর মোশাররফ হোসেন রোডের আবুল হোসেন চৌধুরীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। 

এবং চাঁদাবাজি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহিন শাহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি পলাতক রয়েছেন। 

মাদক মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের একতারা মোড় এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে আসামি সফিকুল আলমের পায়জামার পকেট থেকে ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সেদিনই তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হয়। সে একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। 

আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯(১) টেবিল ১(ক) ধারার অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

চাঁদাবাজি মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি শাহিন শাহ ও  তার লোকজন বিভিন্ন সময় ধারালো অস্ত্রসস্ত্রসহ কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ আলী মোল্লার ছেলে আইয়ুব আলীর বাড়িতে যান এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬৫ হাজার চাঁদা আদায় করেন। পরে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে তারা আবারও চাঁদা দাবি করে। এতে রাজি না হওয়ায় শাহিনের সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আইয়ুব আলী ও তার স্ত্রীকে মারপিট করেন এবং কয়েক লাখ টাকা মূল্যের মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যান। 

এঘটনায় আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শাহিন শাহ ও লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি শাহিন শাহকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, মাদক ও চাঁদাবাজি মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সফিকুল ও শাহিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।