Can't found in the image content. চারটি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এখনি কাজ শুরু করতে হবে : সজীব ওয়াজেদ জয় | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

চারটি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এখনি কাজ শুরু করতে হবে : সজীব ওয়াজেদ জয়

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ৭, ২০২২

চারটি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এখনি কাজ শুরু করতে হবে : সজীব ওয়াজেদ জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন
উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য আমরা চারটি প্রযুক্তির উপর নজর দিতে চাই।

তিনি  বলেন মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি; এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের  এখনি কাজ শুরু করতে হবে ।


আইসিটির উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরস -এর ২য় সভায় গণভবন  থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নেন্সের এর সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত সভার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ,ডিফেন্স টেকনোলজি, এগ্রিকালচারসহ ভবিষ্যৎ পৃথিবীর প্রত্যেকটা সেক্টর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক্স নির্ভর হবে। তাই নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববাজারে রপ্তানি ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য এখন থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ করতে হবে।“

দেশ এবং বিশ্বের প্রয়োজন মেটাতে মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়্যাল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল হতে কাজ শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন   এক্ষেত্রে শুধুমাত্র মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনে অন্যান্য দেশকে ধরতে বাংলাদেশের একটু সময় লাগলেও বাকি তিনটিতে বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম ।

উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতের জন্য যে কী টেকনোলজি আমাদের দেশের জন্য এবং বিশ্বের জন্য প্রয়োজন হবে সেখানে আমাদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্য নিয়েই মাইক্রোপ্রসেসিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, মাইক্রোপ্রসেসিং ডিজাইন ও ম্যানুফ্যকচারিংয়ে বর্তমানে পুরো বিশ্ব ২-৩ টি দেশের ওপর নির্ভরশীল। ভবিষ্যত ডিজিটাল দুনিয়ার জন্য সব কিছুতেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কিছু না কিছু চলে আসছে। বর্তমানে আমাদের অন্য দেশ থেকেই এই টেকনলোজি আনতে হচ্ছে। আমার ধারণা, ভবিষ্যতে সবক্ষেত্রেই রোবটিকস এর ব্যবহার হবে। ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা, কৃষি সব ক্ষেত্রেই রোবট শ্রমবাজার টেক ওভার করবে। তাই আমরা যদি নিজেদের রোবটিক টেকনলোজি ডেভেলপ করতে পারি তখন আমাদের অন্যদের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। 


তিনি আরো বলেন অর্থনীতি যেহেতু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে সাইবার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও আমাদের দেশে এই চারটি ক্ষেত্রে কিছু কিছু টেকনলোজি আবিস্কার হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল।

এই নির্ভরশীলতা কাটাতে প্রয়োজনীয় এসব প্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে  আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, আইওটি ও রোবটিকস এ অন্যান্য দেশ খুব একটা এগিয়ে যেতে পারেনি। এটা নতুন প্রযুক্তি। তাই এটা আমরা সহজেই ধরে ফেলতে পারবো। তিনি বলেন মাইক্রোপ্রসেসরে যেসব দেশ এগিয়ে গেছে তাদের ধরতে আরো ২০ বছর সময় লাগলেও আমাদের আজ থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। ভবিষ্যতের মাইক্রোপ্রসেসর টেকনোলজিতেও আশা করি আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ঔ যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সভা পরিচালনা করেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিবেশ, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও ভূমিমন্ত্রী সাঈফুজ্জামান চৌধুরী ,  বোর্ড অব গভর্নেন্স এর সদস্যবৃন্দ, বিসিএস, বেসিস ও বাক্কো সভাপতি , আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।