ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

আমের চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন দুলাল রেজা

আটোয়ারী, পঞ্চগড় প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, জুলাই ৬, ২০২২

আমের চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন দুলাল রেজা
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়। চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, এখন দ্বিতীয় সিলেট নামে পরিচিত। এবার চা চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে আম্রপালি আমের চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের ছেপড়াঝার গ্রামের রফিকুল ইসলাম এর জামাই দুলাল রেজা। তাঁর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সালান্দরে।

গত বছর খুব একটা ভালো দাম না পাওয়ায় নিরাশ হননি তিনি। কিন্তু এই চলতি বছরে ১০ লাখের অধিক টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুলাল। তাঁর বাগানের আম যাচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন বাজারে।

জানা যায়, দুলাল রেজা তাঁর বিয়ের পর কৌতুহল বসত ছেপড়াঝারের গাঁ ঘেঁষে বর্ডার এলাকায় চা বাগান দেখতে যান। দেখার এক পর্যায়ে তাঁর মাথায় আসে আম বাগানের কথা। এ জমি গুলোতে যদি চা বাগান হয়, তাহলে আম বাগানও করা যাবে। তারপর তাঁর শ্বশুর রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে, ২০১৭ সালে বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে ১২ বিঘা জমি ১২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক লিজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে আম্রপালি এবং বারি-৪ জাতের আম চাষ শুরু করেন। তিন বছর পর তাঁর বাগানে ফল দেওয়া শুরু হয়। আমের উৎপাদিত লাভের টাকায় বাগানের পাশে প্রায় ২ বিঘা জমি ক্রয় করেন তিনি। বর্তমান বাগানের জমির পরিমাণ ১৪ বিঘা। গত বছর প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার আম বিক্রি করেন। এবার বাগানে প্রচুর আম আসায় তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন, গত বছরের চেয়ে এবছর অনেক বেশি টাকা লাভ হবে।

গতকাল মঙ্গলবার একদিনে বাগান থেকে দুইশত মণের মত আম সংগ্রহ করে ঢাকার বাজারে পাঠিয়েছেন তিনি। আটোয়ারী উপজেলায় দুলাল রেজা প্রথম বাণিজ্যিকভাবে আম বাগান করেন। তবে উপজেলায় আরও কয়েকটি আম বাগান করা হয়েছে।

দুলাল রেজা জানান, বাগানে আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের মোট ১,৮৫০ টি আম গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটি গাছে আশানুরূপ ফল ধরেছে। প্রতিটি আমের ওজন আনুমানিক ৩৫০-৭৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। আমটি খেতে মাঝারি মিষ্টি, হালকা আশঁযুক্ত খুব সুস্বাদু। স্থানীয় বাজারসহ রাজধানীতে এই আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

আটোয়ারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরজাহান খাতুন বলেন, এ উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় বড় -ছোট ও মাঝারি মিলে মোট ১০৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। অনেকেই আম্রপালি আম চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা প্রদান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।