জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণরোধে বিনিয়োগ প্রকল্প শিশুবান্ধব ও বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য টেকসই পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সিঙ্গাপুরে ‘এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্স অন আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল নেটওয়ার্ক ফর আরলি চাইল্ডহুড (এআরএনইসি)। এ সম্মেলনে ঢাকার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘ইয়াং চিলড্রেন ইন ক্রাইসিস: অ্যাড্রেসিং দ্য ইমপ্যাক্ট অব দ্য কোভিড প্যানডেমিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডেশন’।
আরনেক (এআরএনইসি) বোর্ড অব ডিরেক্টরস চেয়ার ড. শেলডন শেফারের সভাপতিত্বে চারদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ইউনিসেফের ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টরস মায়ো জিন নয়েট, ইউনেস্কোর এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টরস শিগেরু আয়োগি ও কম্বোডিয়ার শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ড. হ্যাং চুন ন্যারন।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, কোভিড মহামারিতে স্কুল ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী ১৫০ কোটি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৪২ কোটি শিশুদের শিক্ষা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শিশুদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক মানের ছয় গুণ বেশি। ফলে পরিবেশ দূষণের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোন দায় নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নীতি ২০১৩ ও কর্মপরিকল্পনা ২০১৭ বাস্তবায়ন করছে। এর ফলে শিশুদের সুষ্ঠু শারীরিক, মানসিক, সামাজিক বিকাশ হচ্ছে।’
চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন নেপাল, ভুটান, ফিজি ও মার্শাল আইল্যান্ডের মন্ত্রীরা। এছাড়া ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ইসিডি, পুষ্টি, শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণরোধ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।