ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না: নোমান

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ৫, ২০২২

ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না: নোমান
আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জনগণ যে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাকে বলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু যে নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করা হবে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবেনা। এমনকি কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবেনা। অর্থাৎ ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করতে দেয়া হবে না। 

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। "চলমান রাজনৈতিক সংকট ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন" শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম। 

বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আবদুস সালাম, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রফিকুল ইসলাম (ভিপি মাসুম), সাবেক ছাত্রনেতা ইসমাঈল তালুকদার খোকন, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নাদিয়া পাঠান পাপন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আমির হোসেন বাদশা, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আজকে দেশে যে সংকট তা নিরসন করতে হলে চলমান কর্তৃত্ববাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আজকে তাই সরকার পতনের আন্দোলন করতে হবে। জনগণকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে আমরা হাসিনাকে সরাতে পারবোনা। সেই লক্ষ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
খালেদা জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। আমাদেরকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আরো এগিয়ে যাবো এটাই আমাদের সাংগঠনিক লক্ষ্য। 

নোমান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন মানে জনগণের নির্বাচন। জনগণ নিজেরাই এখন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ। তাদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে সরকার পতন আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেজন্য আমাদেরকে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সরকার পতনের আন্দোলন আরো বেশি ত্বরান্বিত করবো। কেননা আওয়ামী লীগ নিজেরাই তাদের পতন নিশ্চিত করছে। জনগণ আমাদের সাথে আছে জয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ।

আবদুস সালাম বলেন, দেশের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজকে মানুষ ঠিকমতো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে না। দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে আর সরকার পদ্মাসেতু নিয়ে আনন্দ করছে। কারণ আওয়ামী লীগ চোরের দল। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। দেশের প্রতি মমত্ববোধ নেই। আসলে গণতন্ত্র না থাকলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না থাকলে মুক্তি মিলবেনা। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণকে সঙ্গে আমাদেরকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে কোনো রেহাই নেই। আর বিএনপি ছাড়া আন্দোলন সফল হবে না। আমাদের আর হারানোর কিছু নেই। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। অন্যদিকে দেশ ও জনগণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলেই দেশের চলমান সঙ্কটের সমাধান হয়ে যাবে। অন্যথায় জনগণ নিজেরাই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য করবে।