বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যতবারই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে সে নির্বাচনে বিএনপি যবে না। উনাকে রেখে বাংলাদেশে কোন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় খিলগাঁও থানাধীন ১, ২ এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি'র সম্মেলনে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, যে নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একজন বিনা ভোটের সাংসদকে সামাল দিতে পারে না সেই কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ জন ভোট ডাকাতকে কিভাবে সামলাবেন ? মির্জা আব্বাস সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগ নামধারীদের হামলা এবং ফেনী, সিলেট সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রমে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও বাধার প্রতিবাদ করে বলেন, বিএনপি গুন্ডামী করে না, সন্ত্রাস করে না, কিন্তু আঘাত যদি আসে পাল্টা আঘাত করতে দ্বিধা করে না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক ও খিলগাঁও থানা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ইউনুস মৃধা'র সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-নগর বিএনপি'র যুগ্ম আহবায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, সদস্য এ্যাডভোকেট ফারুক উল ইসলাম, জামিলুর রহমান নয়ন, সাইফুল্লাহ খালিদ রাজনসহ মহানগর ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র আহবায়ক আবদুস সালাম সরকারপ্রধানের সমালোচনা করে বলেন, দেশের মানুষ যখন পানিতে ভাসে তিনি তখন সংসদে, পদ্মা সেতুতে সংগীতের আয়োজন করেন। দূর্গত মানুষের পাশে তিনি বা তাঁর সরকার বা দলের কেউ নাই। মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না অথচ পদ্মা সেতুতে আসা তাঁর দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য কোটি কোটি টাকা অপচয় করে টয়লেট বানান। আবদুস সালাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি দাবি করে বলেন, অপেক্ষা করেন, ক্ষমতা ছাড়েন হাজার হাজার মামলা আপনার জন্যও প্রস্তুত হয়ে আছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি'র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু নেতাকর্মীদেরকে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েসী সাজা দিয়ে আটক করে রেখেছে। আন্দোলন করেই গণতন্ত্র এবং 'গণতন্ত্রের মা' বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সম্মেলননে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি এম জামান, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. কামাল উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি মো. সাজ্জাদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল ইসলাম কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমির হোসেন সরদার, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি মো. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাইনুদ্দিন মাইনুকে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন।