Can't found in the image content. পদ্মা সেতুর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : রিজভী | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

পদ্মা সেতুর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : রিজভী

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: রবিবার, জুলাই ৩, ২০২২

পদ্মা সেতুর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে : রিজভী

ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুর জাকজমক পূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, শনিবারের একটি সংবাদের উপর আমার দৃষ্টি আকর্ষন হয়েছে যে অবৈধ সরকারের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর নাকি আমাকে দেখা যায়নি।আমি ওনাকে বিনয়ের সাথে বলতে চাই পদ্মা সেতু যে সময় উদ্বোধন করা হয়েছে মানুষ যখন পানিতে ভাসছে হাহাকার করছে মানুষের সহায় সম্বল যখন ভেসে যাচ্ছে তখন আপনাদের পদ্মা সেতুর জাকজমক পূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ মনে করেছে এটা গোটা জাতির সামনে একটা তামাশা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও সখানে লোক সমাগম হয়নি। সমাবেশে ২০লাখ লোক হবে বলা হলেও ৫-১০হাজার লোকও উপস্থিত ছিল না।

রবিবার(৩ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমি তথ্যমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই আপনারা পদ্মা সেতুর তথাকথিত জাঁকজমক পূর্ণ উদ্বোধন করলেন গোটা জাতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, তাদের সাথে রসিকতা করে। জাতি যখন বন্যার মধ্যে ভাসছে সেই অনুষ্ঠানেও কিন্তু আপনাদের অনেক ঘনিষ্ঠজনকে দেখা যায়নি। সেখানে আপনাদের তথাকথিত কোন বিরোধীদলের কোন নেতাকর্মীকেও আমরা দেখিনি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার মেয়ের জামাইকেও দেখলাম না।তার (প্রধানমন্ত্রীর) ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কেও দেখলাম না। সবচেয়ে বড় কথা সবসময় যিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকেন তার বোন শেখ রেহেনাকেও কেন দেখলাম না।বাংলাদেশের কোন বিশিষ্টজনকে আমরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখি নাই।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বড় কথা সেতু থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টুস করে ফেলে দিবে দেশের একজন গুণিজনকে চুবানি দিবে সেই সেতুর জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠান দেশের মানুষ ভালভাবে দেখেনি। যে সেতুর সাথে ভয়ংকর দুর্ণীতি জড়িত, যেখানে এক টাকা খরচ হওয়ার কথা সেখানে সাড়ে তিন টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে গেছে, তারা কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ি বানিয়েছে।