‘আমরা চললাম, আমাদের মেয়ের কাছে...।’ খাওয়ার সময় হঠাৎ গলায় খাবার আটকে ১৮ মাস বয়সী শিশুকন্যার আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা।
গলায় খাবার আটকে যাওয়ার পর অনেক চেষ্টা করেও খাবার বের করতে পারেননি বাবা-মা। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় ফুটফুটে শিশুটি। চোখের সামনে মেয়ের এমন। শোক সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই বাবা মা। লিখে গেছেন সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা, ‘আমরা চললাম, আমাদের মেয়ের কাছে...।’
শনিবার (২ জুলাই) ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার অটপড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- করণ হেংড়ে (২৮) ও শীতল হেংড়ে (২২)। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এর ঠিক চারদিন আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে খাওয়ার সময় গলায় খাবার আটকে মারা যায় এ দম্পতির একমাত্র কন্যাশিশুটি।
করণ-শীতল দম্পতির প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির মৃত্যু হয়। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আত্মীয়-স্বজনরা সবাই দুদিন পর নিজেদের বাড়ি চলে গেছেন। তবে এরপরও শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না করণ ও শীতল দম্পতি। তারা প্রতিবেশী কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। ঘর থেকে বের হতেন না। তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কোনোভাবেই মেয়ের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না।
শনিবার সকালে দিকে গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা দেখতে পান, একটি মন্দিরের পাশে গাছে একই দড়িতে ঝুলছেন করণ ও শীতল দম্পতি। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ দম্পতি আত্মহত্যা করেছেন। শিশুকন্যা হারিয়ে শোকবিহ্বল বাবা-মা সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। মেয়েটির বাবা করণ হেংড়ের শার্টের পকেটে পাওয়া নোটে লেখা ছিল, ‘আমরা চললাম, আমাদের মেয়ের কাছে...।’
এ ঘটনায় পুলিশ অটপড়ি থানায় আত্মহত্যার মামলা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ।