শুক্রবার (১ জুলাই) সকালবেলা মালয়েশিয়ার সাবাহ রাজ্যের কোটা কিনাবালু শহরে আচমকা শুরু হয় ঝড়ো বাতাস, সঙ্গে ভারি বৃষ্টি। ঘণ্টাখানেক স্থায়ী এই আবহাওয়া শহরের বাসিন্দাদের যতটা না হতভম্ব করেছে, তারচেয়ে বেশি চমকে দিয়েছে আকাশের চেহারা। কারণ, ঝড়-বৃষ্টির আগে সেখানকার আকাশে দেখা গিয়েছিল মেঘের এক ‘বিরল’ রূপ। মালয়েশিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ওই মেঘমণ্ডলের ছবি ও ভিডিওগুলো।
ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সাবাহ (ইউএমএস)-এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. রামজাহ ডাম্বুল বলেন, আর্কাস নামে পরিচিত মেঘের এই গঠন বেশ বিরল এবং এটি সামনে খারাপ আবহাওয়ার লক্ষণ দেখায়। তবে তা অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো বিষয় নয়।
ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, হ্যাঁ, এই মেঘের গঠন খারাপ আবহাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু এর ফলে টাইফুনের মতো কিছু হবে না।
ড. রামজাহ জানান, আর্কাস মেঘ সাধারণত আকাশের নিম্নাংশে অনুভূমিকভাবে গঠিত হয় এবং তা সুনামির ঢেউয়ের মতো দেখায়। এ জলবায়ু বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ধরনের মেঘকে আমরা কিউমুলোনিম্বাস মেঘের আত্মীয় বলে থাকি, যা ঠাণ্ডা ও গরম বাতাসের সংঘর্ষে তৈরি হয়। এর ফলে একটি অস্থিতিশীল বায়ুমণ্ডলীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সে কারণেই আর্কাস মেঘ সাধারণত শক্তিশালী বাতাস, ভারি বৃষ্টি বা বজ্রঝড় নিয়ে আসে।
তিনি জানান, আর্কাস ও কিউমুলোনিম্বাস মেঘের পার্থক্য হলো- কিউমুলোনিম্বাস সাধারণত আকাশের উচ্চস্তরে গঠন হয় এবং মালয়েশিয়ার মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে দেখা যায়। সেদিক থেকে সাবাহ রাজ্যে আর্কাস মেঘের দর্শন অনেকটাই বিরল।
ড. রামজাহর কথায়, আমি যদি ভুল না করি, কোটা কিনাবালুতে আর্কাস মেঘ সবশেষ তৈরি হয়েছিল ২০১২ ও ২০১৬ সালের জুন মাসে। এবার, মনে হচ্ছে আর্কাস তার বাস মিস করায় জুনের পরে হাজির হয়েছে।
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে প্রতি বছর অক্টোবর মাসে প্রায় চারবার আর্কাস মেঘ দেখা যায়।
সূত্র: দ্য স্টার