আসন্ন ঈদুল-আজহাকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজধানীর কামারপাড়াগুলো। সেঝানে তৈরি হচ্ছে- ধারালো ছুরি, চাপাতি, দা, বঁটিসহ নানাবিধ সরঞ্জাম। তাদের এ ব্যস্ততা চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারেদেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।
এ বাজারে সারাবছর শুধু দা, বঁটি বিক্রি হলেও ঈদ সামনে রেখে দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে গরু জবাইয়ের ছোরা, দেশি-বিদেশি চাপাতি, বিভিন্ন সাইজের চাকু। অন্যদিকে মার্কেটের ভেতরে কারখানায় কয়লার আগুনে লোহা পুড়িয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে রূপ দিচ্ছেন কামাররা। তবে ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়লেও এখনো বেচা-বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক দোকানি।
একজন কামার জানান, রোজার ঈদের পর থেকেই মূলত তারা কোরবানির জন্য ছোরা-চাপাতি তৈরি শুরু করেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করেন। ঘণ্টায় একটি করে চাপাতি বানাতে পারেন তারা।
ভোলা কামার নামে এক দোকানের কর্মচারী শাহাবুদ্দিন বলেন, এখনো মানুষের ছোরা-চাপাতি কেনা শুরু করেনি। মূলত গরু বিক্রির ওপরই আমাদের বেচা-বিক্রি নির্ভর করে। গরু কেনা যখন খুব জমে, তখন ছোরা-চাপাতিতেও মানুষ ভিড় করে।
তিনি বলেন, অনেকেই আবার পুরাতন ছোরা ধার দিতে আসেন। আর জবাই ছোরা সাধারণত মাদরাসার হুজুররাই কেনেন। এক হুজুর কাল মরিচাপড়া ২০টা ছোরা এনেছিলেন। আগের বছর জবাই দেওয়ার পর গত এক বছরে আর কাজে লাগেনি।
কারওয়ান বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানে কথা বলে জানা যায়, এবার সবকিছুরই দাম বাড়তি। গরু জবাইয়ের ছোরা বিক্রি হয় পিস হিসেবে। আর চাপাতি বিক্রি হয় কেজি হিসাবে। রেললাইনের লোহা দিয়ে তৈরি প্রতি পিস চাপাতির দাম পড়ে ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৬০০ টাকায়।
অন্যদিকে গাড়ির স্প্রিংয়ের লোহার তৈরি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া বঁটি ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি লোহা। গরু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আছে। এছাড়াও চায়নিজ চাপাতি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।