Can't found in the image content. ন্যাটো সম্মেলনের ক্যাফেতে ‘রাশিয়ান সালাদ’ নিয়ে কাড়াকাড়ি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ন্যাটো সম্মেলনের ক্যাফেতে ‘রাশিয়ান সালাদ’ নিয়ে কাড়াকাড়ি

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, জুন ২৯, ২০২২

ন্যাটো সম্মেলনের ক্যাফেতে ‘রাশিয়ান সালাদ’ নিয়ে কাড়াকাড়ি

ছবি: সংগৃহীত

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) শুরু হয়েছে সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের ক্যাফের খাবারের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ‘রাশিয়ান সালাদ’।

রুশ-বিরোধী জোটের সম্মেলনে ‘রাশিয়ান সালাদ’ দেখে অনেকে অবাক হলেও খাবারটি নিয়ে একরকম কাড়াকাড়ি অবস্থা। হু হু করে বিক্রি হচ্ছে এই খাবার। প্রথম দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খাবারটি শেষ হয়ে যায়। অনেকে অর্ডার দিয়েও নাকি পাননি।  

বুধবার (২৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাটোর মতো রুশ-বিরোধী সামরিক জোটের সম্মেলনের ক্যাফের খাবারের তালিকায় ‘রাশিয়ান সালাদ’ সবার ওপরে থাকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের কার্যত হতবুদ্ধি করে দিয়েছে। এটি নিয়ে  হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের আয়োজিত ন্যাটো সম্মেলনের ভেন্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অন্য নেতাদের সম্মেলনস্থলে পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন কর্মকর্তা-সাংবাদিকরা। অপক্ষোর একপর্যায়ে তারা ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত ওই ক্যাফের খাবারের মেনুতে ‘রাশিয়ান সালাদ’ দেখতে পান। স্প্যানিশ শেফ জোসে আন্দ্রেস এই খাবারটি তৈরি করেছিলেন। মটর, আলু, গাজর এবং মেয়োনিজের মতো বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি করা রাশিয়ান এই সালাদ স্প্যানিশ ওই রেস্তোরাঁর মেনুতে শীর্ষে ছিল।

স্প্যানিশ গণমাধ্যম লা সেক্সতাকে সাংবাদিক ইনাকি লোপেজ বলেন, ন্যাটো সম্মেলনে রাশিয়ান সালাদ? মেনুতে এই খাবার দেখে আমি একটু অবাকই হয়েছি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাথমিক অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই জোটের মাধ্যমে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে (ইউএসএসআর) অর্থাৎ বর্তমান রাশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এরপর কয়েক দশক ধরে জোটটি ক্রমাগতভাবে তার রাস্তা প্রসারিত করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর একটি অংশকে নিজেদের সদস্য বানিয়েছে ন্যাটো। এর ফলে বিশ্বব্যাপী নতুন করে সামরিক চাপে পড়ে রাশিয়া।

সূত্র: রয়টার্স