গত ২০শে জুন ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাংলি জেলায় একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ ঘটনা নিয়ে তখন বেশ তোলপাড় হয়েছিল। পরিবারটি বহুদিন ধরেই ঋণে জর্জরিত ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর ভেবেছিল এটি একটি আত্মহত্যা।। তাই পাওনা টাকা ফিরিয়ে দিতে না পেরে এবং মানুষের কথার চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।
তবে এক সপ্তাহের মাথায় ওই তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এটি মোটেও আত্মহত্যা ছিল না। বরঞ্চ বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে ওই ৯ জনকে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, এরইমধ্যে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে আছেন এক তান্ত্রিকও। তিনিই এই হত্যাকান্ডের মূল হোতা বলে বিশ্বাস পুলিশ।
সন্দেহভাজনদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তান্ত্রিকই বিষ প্রয়োগ করে খুন করেছিল পুরো পরিবারটিকে। এরপর তিনি এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালায়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।
এখনও জানা যায়নি, ঠিক কেন ওই পরিবারের লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২০শে জুন ওই বাড়িতে মরদেহগুলি পাওয়া যায়। বাড়িতে দুই ভাইয়ের পরিবার থাকতেন এক ভাই শিক্ষক ও অপর ভাই পশু চিকিৎসক। ঋণে জর্জরিত হয়ে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করেছিল।
এবার তদন্তে উঠে আসছে তাদের খুন করা হয়েছিল। আর ওই তান্ত্রিক এবং তার ড্রাইভার এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
এ নিয়ে সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা মনোজ কুমার লোহিয়া জানান, তান্ত্রিক ও তার ড্রাইভারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারাই বিষ খাইয়ে খুন করেছে বলে তদন্তে উঠে আসছে।