প্রতিটি সম্পর্কের মূলে হচ্ছে আস্থা ও মানসিক সংযোগ। সঙ্গীর মনের সঙ্গে আপনার মানসিক সংযোগ না হলে সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দেবে। এর পরিণতি খুব একটা সুখকর হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘যে কোনো সম্পর্কেই বন্ধুত্ব থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রথমে আপনার সঙ্গীর ভালো বন্ধু হওয়াটা সম্পর্কের জন্য ভালো’।
তবে সংসারে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হতেই পারে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের পছন্দের পার্থক্যও থাকবে। সেক্ষেত্রে নিজের আচরণে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
যেমন-
কোনও কিছু ধরে নেবেন না
ধরা যাক, আপনি ঘরের কাজ তক্ষুনি করে ফেলতে পছন্দ করেন, আর আপনার সঙ্গী মনে করেন অনেকগুলো কাজ জমে গেলে একসঙ্গে করে শেষ করে দিলেই হল! ফলে সমস্ত ঘরের কাজ হয়তো আপনিই করে ফেলেন আর আপনার সঙ্গী হয়তো মনে করেন যাবতীয় কাজ করতেই আপনার ভালোই লাগে! এই ছোটখাটো ভুলবোঝাবুঝি থেকেই বড়ো সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই কোনও কিছু ধরে নেবেন না, সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলে নিন, যাতে ভুল বোঝার অবকাশ না থাকে।
জাজমেন্টাল হবেন না
সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা জরুরি, কিন্তু তার কথা মন দিয়ে শোনাটাও সমান দরকার। আর তার কথা শুনতে গিয়ে আগে থেকে কোনও ধারণা মনের মধ্যে যেন গড়ে না ওঠে। মতের অমিল হতেই পারে, সেই স্পেসটা তাকে দিন।
ইতিবাচক মানসিকতা ধরে রাখুন
কঠিন সময় জীবনে আসতেই পারে, কিন্তু তার জন্য মুখের হাসি হারাতে দেবেন না। বরং সঙ্গীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। কোনও পরিস্থিতিতেই নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকে মনে গেড়ে বসতে দেবেন না।
প্রশংসা করুন
ছোটখাটো প্রশংসাও আপনাদের জীবনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে পারে। সঙ্গী যদি কোনও ভালো কাজ করেন, তা যত ছোটই হোক, তার প্রশংসা করুন। পরিবর্তে আপনিও প্রশংসা ফিরে পাবেন। পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীলতা থাকলে সম্পর্ক সুখের হয়।