সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৭ জুন) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। ক্রেতা সংকটে প্রায় দুই ডজন প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।
ক্রেতা সংকট দেখা দিলেও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। ফলে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য এক ঘণ্টার লেনদেনে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের মাত্র একটি করে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া মাত্র দুটি বা তিনটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কিছুটা বাড়লেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য অল্প সময়ের মধ্যেই সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠে। লেনদেনের ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
তবে লেনদেনের সময় আধা ঘণ্টা না গড়াতেই আবার সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এভাবে চলতে থাকা লেনদেনের মধ্যে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। তবে কমেছে অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ১২ পয়েন্ট কমেছে।
এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৩টির। আর ৬১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দাম কমার তালিকায় স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এরপরও এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে রয়েছে। এমন ক্রেতা সংকটের মধ্যে ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৯ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।