নারীদের গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে সংস্কার আনতে যাচ্ছে জার্মান সরকার। আইনটি সংস্কার হলে গর্ভপাতে ইচ্ছুকদের অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার অনুমতি পাবেন চিকিৎসকরা।
জার্মানিতে গর্ভপাত সম্পূর্ণ বেআইনি। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে এর অনুমোদন রয়েছে এবং সেক্ষেত্রে গর্ভধারনের ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করতে হবে।
তবে যেহেতু চিকিৎসকদের তথ্য দেওয়ার অনুমতি নেই, তাই গর্ভপাত সংক্রান্ত তথ্য সেখানে পাওয়া কঠিন। যেমন ওয়েবসাইটে গর্ভপাত পরিষেবার কথা উল্লেখ করায় এক চিকিৎসককে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় লাখ টাকা জরিমানার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে জার্মানিতে বড় রকমের বিতর্ক তৈরি হয়।
জার্মানির আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এক বিবৃতিতে বলেন, গর্ভপাত করাতে চান এমন নারীদের গর্ভপাতের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করাটা চিকিৎসকদের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করা হতো। এমনকি জরিমানাও দিতে হতো তাদের।
২২ বছর বয়সী তরুণী ভেরেনা বলেন, আমি অনলাইনে তথ্য খুঁজে হয়রান হয়ে গেছি। কোন চিকিৎসক গর্ভপাত করেন, তারা কোথায় বা কীভাবে এ কাজ করেন, তা জানার সহজ কোনো উপায় নেই।
পাঁচ বছর আগে ভেরেনা দেখেছিলেন তথ্য সহজে না মেলার কারণে স্থানীয় ক্লিনিকে কল করার আগে কয়েক ঘণ্টা নষ্ট হয় অযথা অনুসন্ধান করে। তাকে নিজের এলাকার তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে তিনি দেখতে পেলেন যে তথ্য পাওয়ার কোনো উপায় নেই, যেমন : অস্ত্রোপচার করে গর্ভপাত এবং ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাতের পার্থক্য কী? পরবর্তী প্রক্রিয়াটি কেমন এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো কী কী? এসব তথ্য জানার কোনো উপায় নেই।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে