ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

পদ্মা সেতু পারাপারে প্রথম দিনেই নিয়ম ভাঙতে দেখা গেছে অনেককে

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, জুন ২৬, ২০২২

পদ্মা সেতু পারাপারে প্রথম দিনেই নিয়ম ভাঙতে দেখা গেছে অনেককে
নিরাপত্তার জন্য পদ্মা সেতুতে কী কী করা যাবে না, তার ফর্দ আগেই দিয়েছিল বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সেখানে বলা হয়েছিল, সেতুতে গাড়ি থামিয়ে আবেগের বহিঃপ্রকাশ করা যাবে না। সেই সঙ্গে যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা বা হাঁটা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। কিন্তু প্রথম দিনে সেই নিয়ম ভাঙতে দেখা গেছে অনেককেই। 

রবিবার (২৬ জুন) ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এসময় সেতুর দুই প্রান্তে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক, ভাড়া করা গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অনেকেই রাতেই চলে এসেছিলেন পদ্মার পাড়ে। রাতভর আড্ডা দিয়েছেন, স্বাদ নিয়েছেন রূপালি ইলিশের। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ নিয়েছেন অনেকেই। যানজটে কিছুটা বিড়ম্বনা হলেও অবিস্মরণীয় এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত সেতু দিয়ে পারাপারকারীরা।

অনেকে হেঁটেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হয়েছেন। আবার কেউ কেউ মাঝপথে গাড়ি কিংবা বাইক থামিয়ে তুলেছেন ছবি। অনেকেই ভিডিও কলে স্বজনদের সেতু দেখিয়েছেন। এসময় র‌্যাবের কিছু সদস্য মাঝে মধ্যে এসে দর্শনার্থীদের সরিয়ে দিলেও উচ্ছ্বাস আর আবেগের কাছে তা ছিল অনেকটাই ক্ষীণ।

তবে এই আবেগ সংবরণের কথা বলা হয়েছিল আগেই। কারণ অতিরিক্তি আবেগ কিংবা উচ্ছ্বাসের কারণে ঘটে যেতে পারে যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনা। পদ্মা সেতুতে মেনে চলতে হবে— এমন কিছু নিয়ম উল্লেখ করে একটি গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। গত ২৩ জুন প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতুতে অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এর চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মোটোরাইজড গাড়িযোগে সেতু পার হওয়া যাবে না।

আর গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া ও ৫ দশমিক ৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতু দিয়ে পার করা যাবে না বলেও জানানো হয়। এছাড়াও সেতুর ওপর ময়লা ফেলা যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।

পদ্মা সেতু এলাকার নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যে দুই পাশে দুটি থানা চালু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহগঞ্জ উপজেলার মেদেনীমন্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়নকে একত্রিত করে ‘পদ্মা সেতু উত্তর থানা’ ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সীমানায় হয়েছে ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা’।

সেতু ও সেতু-ঘেঁষা এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ দুটি থানা গঠন করেছে সরকার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পদ্মা সেতুসহ গোটা এলাকাটিকে কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) ঘোষণার আলোচনা চলছে।

পুরো সেতু ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে সিসিটিভি। নিরাপত্তা তদারকিতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন।