দোনবাসে রুশ সেনার কাছে যে ইউক্রেনীয় বাহিনী পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছে, তা এখন স্বীকার করেছে পশ্চিমারাও। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিপুল অস্ত্র ও অর্থ সমর্থন সত্ত্বেও রাশিয়াকে মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে কিয়েভ।
বুধবার চেচনিয়ার রাশিয়ান উত্তর ককেশাস অঞ্চলের প্রধান রমজান কাদিরভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন— লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের (এলপিআর) কাটেরিনোভকার বসতি মুক্ত করা হয়েছে, রুশ সেনারা লুহানস্কের শেষ দুটি বড় শহর সিভিরোদনেৎস্ক এবং লিসিচানস্কের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানকার প্রতিরক্ষায় থাকা কিয়েভের বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছে। শহর দুটি সম্পূর্ণ মুক্ত হতে এত সময় লাগার কারণ হচ্ছে, সেখানে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন ইউক্রেনের সেনারা।
তিনি বলেন, সেখানকার ক্ষতি এড়াতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটি ছেড়ে পালাচ্ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। যারা এখনো থেকে গেছেন, তাদের সরবরাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করে ঘিরে রেখেছেন রুশ সেনারা। কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ানরা ট্যাংক ও সেনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর কামান, রকেট নিক্ষেপ এবং গুলি করেই সন্তুষ্ট ছিল।
লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি হাইদাই স্বীকার করেছেন, রাশিয়ানরা তিনটি কৌশলগত গ্রাম দখল করার সঙ্গে সঙ্গে এই কৌশলটি বুধবার একটি আপাত অগ্রগতিতে পরিণত হয়েছে।
রমজান কাদিরভ বলেন, ‘আখমত বিশেষ বাহিনী ইউনিটের সেনা, রাশিয়ার হিরো জামিদ চালায়েভের নেতৃত্বে, মিত্র সেনাদের সঙ্গে লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের আরেকটি বসতি মুক্ত করেছে— কাতারিনোভকা গ্রাম। সফল আক্রমণে বেশিরভাগ ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীদের নির্মূল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু আমাদের যোদ্ধারা তাদের দ্রুত খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা, তাস।