ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

নির্বাচনের নামে প্রহসন জিয়ার আমল থেকে শুরু: শেখ হাসিনা

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ২৩, ২০২২

নির্বাচনের নামে প্রহসন জিয়ার আমল থেকে শুরু: শেখ হাসিনা
নির্বাচনের নামে প্রহসন জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে প্রহসন জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই শুরু। আমাদের কিছু লোক তার সঙ্গে জুড়ে যায়। রুলস লঙ্ঘন করে যে দল গঠন করলো, তাকে বলা হলো গণতন্ত্রের প্রবক্তা। অনেক মানুষ তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো, আর যে আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য জেল-জুলুম ভোগ করেছে, তারা উপেক্ষিত থাকলো।’

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সবসময় ঠিক ছিল। তারা চটুকারদের মতো ওদের দিকে যায়নি। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে চিনতেন। ইয়াহিয়া খানের ভাসনেও তার প্রতিফলন ছিল। তিনি বলেছিলেন, ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মেনে চলছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের মানুষের কল্যাণ শুধু আওয়ামী লীগই বোঝে। তারা বুঝবে কী করে, তাদের প্রেম তো পাকিস্তানের প্রতি। তাদের জন্মই তো এ দেশে না। এরশাদের জন্মও তো এখানে না। মেরা জান পাকিস্তান— এটা খালেদা জিয়ার কথা।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‌‘আওয়ামী লীগ নিজেদের ভাগ্য নয়, এ দেশের মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য কাজ করছে। যখন যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, এ দেশের মানুষের ভাগ্য বদল হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষতায় আসার পরই, এ দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে, সরকার হলো জনগণের সেবক।’

বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘মিথ্যা বলা ও বানানোর কারখানা যদি থেকে থাকে, তা হলো বিএনপি। তারা মিথ্যা ভালো বানাতে পারে। এই বন্যায় বিএনপির কোনও নেতা সাহায্য দেয়নি। একমুঠো খাবার দিতে পরিনি বন্যার্তদের। ঢাকায় বসে মায়াকান্না করছে। কিন্তু আমাদের নেতারা দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। উদ্ধার কাজ করছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘১৫ আগস্ট শুধু আমরা আপনজন হারিয়েছি তা নয়, বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। অথচ তারেক জিয়ার ৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে ওঠার স্লোগান দেখে বোঝা যায়, সে ও তার বাবা-মা পাকিস্তানের দালাল ছিল। পাকিস্তানের পদলেহনই তাদের বৈশিষ্ট্য। পাকিস্তানিদের লাথি-ঝাটাও তাদের ভালো লাগে। তারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তবে তারা চক্রান্ত করে। তাদের করুনা করা যায়।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‌‘আমাকেও খালেদা-তারেক হত্যার চেষ্টা করেছে। বারবার আঘাত করেছে। ১৫ আগস্টের ঘটনাতেও জিয়া জড়িত ছিল। ৭৫ এর হাতিয়ারকে সমর্থন করে তারেক তার প্রমাণ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূল কীভাবে হবে। যে দলের নেতারা দুর্নীতি, খুন, হত্যা, অস্ত্র চালানের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৭ সালে তো তারেক মুচলেকা দিয়েছিল, সে আর রাজনীতি করবে না। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে ছেড়ে দেয়। সে সেচ্ছায় চলে গিয়েছিল। একজন নেতার যদি ফিরে আসার সহস না থাকে তাহলে তার দিয়ে কীভাবে রাজনীতি হয়।’

তিনি বলেন, ‌‘আমাকেও তো বাধা দিয়েছে। আমি তো ফিরে এসেছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা দিয়েছে। আমি তো সবকিছু মোকাবিলা করেছি।’

জিয়ার লাশের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক কেউ জিয়ার লাশ দেখেনি। একটা বাক্স এরশাদ সাহেব নিয়ে এসেছিল ঠিক, কিন্তু সে-ই মুখ দিয়ে বলেন, ওই বাক্সে জিয়ার লাশ ছিল না। এটা বাস্তবতা, এটা একদিন না একদিন প্রকাশ হবে।’

তিনি বলেন, ‌‘আজকে পদ্মা সেতু নিয়ে তারা কথা তুলেছে। দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বিশ্ব ব্যাংক। খালেদা জিয়ার আমলে প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল ওয়ার্ড ব্যাংক। তাদের চরিত্রটাই তো এই। তাদের আমলে ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় দেশ। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই লজ্জা থেকে দেশকে রক্ষা করি। তারা মানি লন্ডারিং করে টাকা পাচার করে। পরে আমরা সরকারে এসে তার কিছু ফেরত আনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা, তারা প্রশ্ন তোলে কীভাবে। তারা নাইকো, গ্যাটকো প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতি না করলে তারা বিদেশে এত আরামদায়ক জীবন যাপন করে কীভাবে। চোরের মায়ের বড় গলা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘এ দেশে কিছু দালাল সবসময় ছিল। ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার পর খুনি মোস্তাক ক্ষমতা দখল করে। জিয়াকে নিয়োগ দেয় সেনাপ্রধান হিসেবে। মার্শাল ল দিয়ে সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‌‘গুম, খুন জিয়া শুরু করেছিল। এর পর খালেদা জিয়া এসে এটা এগিয়ে নিয়ে যায়। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করে।’