মাদক ও জাল টাকার কারবারী চক্রের হামলায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী এখন ঘরপোড়ার আশংকায় দিন কাটাচ্ছেন। হত্যার উদ্দেশে তাঁর উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এখন নোমানীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে পুলিশের তৎপনতার কারণে অপরাধী চক্র এখনও সাংবাদিক নোমানীর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করার মতো অঘটন ঘটাতে পারেনি। পুলিশ পেশাদার ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। এরপরও যে কোন সময় অঘটনের আশংকা করা হচ্ছে।
সাংবাদিক নেতারা সাংবাদিক নোমানীর উপর হামলাকারীদের ব্যাপারে অধিকতর তৎপরতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তা না হলে বড় রকমের অঘটন ঘটার আশংকা রয়েছে। গণমাধ্যম নেতারা বলেন, সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী সৎ ও পরিশ্রমী সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে কখনো আপোষ করেনি। এই প্রবনতাই তার জন্য বিপদ ডেকে এনেছে।
জানাগেছে, রাজাপুরের চল্লিশ কাহনিয়ায় অর্ধশত বছরের একটি পুরাতন কবরস্থান ও কালেমা, আল্লাহু এবং মুহাম্মদ লেখা একটি তোরন ভাঙ্গার জন্য একটি পক্ষে উদ্যোগ নেয়। অপর পক্ষ ভাঙ্গার বিরোধীতা করে। কবর স্থান ও তোরণের বিষয়ে সাংবাদিক মামুনুর রশীদ নোমানী একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। এ সংবাদই কাল হয়েছে সাংবাদিক নোমানীর।
সংবাদ প্রকাশের পর একটি চক্র সাংবাদিক নোমানীকে খুনের পরিকল্পনা করে। তাদের টার্গেট কখন বরিশাল থেকে নোমানী বাড়ি আসে। ওৎ পেতে থাকে ওরা। খুনের পরিকল্পনাকারীরা বর্তমানে রাজাপুর থানায় নোমানীকে হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। আসামীরা হলো দেলোয়ার, ফেরদৌস, আলম, দুলাল, কালু মোল্লা, ফজলে হক, আমিনুল, হোসেন আলী। এদের পিছনে কলকাঠি নাড়ছে তিন গডফাদার।
সাংবাদিক নোমানীকে খুন করার জন্য গডফাদাররা দ্বায়িত্ব দেয় দেলোয়ার, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, ফজলে হককে। এই চার জন মিলে দেশীয় অস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও লাঠি, আয়রন রড রুমিয়ান ফকির বাজারের একটি দোকানে মওজুদ করে। স্থানীয় একাধিক লোকজন জানায়, দেলোয়ার, কালু মোল্লা, হোসেন আলী, ফজলে হকসহ অন্যান্যদের সাথে ব্যক্তিগত বিরোধ ছিলো না সাংবাদিক নোমানীর। তবে খুনের পরীকল্পনাকারীদের এক কথা কেন নিউজ করলো তোরন ও কবর উচ্ছেদ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। জানাগেছে , হামলাকারীদের কেউ কেউ জাল টাকা ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।এ দিকে নিরাপত্তাহীনতা ও বাড়িঘড় জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়ায় রাজাপুর থানায় নোমানীর মাতা পারুল বেগম একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।
সাংবাদিক নোমানীর উপর হামলার প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের জন্য ঢাকা বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া গনমাধ্যম বিষয়ক সংগঠনগুলো বিবৃতি প্রদান করেছে।