সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্টে আরো ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৩ এবং কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে টানা ৩ সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুটি পয়েন্টেই বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বন্যাকবলিত ৬টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবসহ বিভিন্ন সঙ্কট দেখা দিচ্ছে বানভাসি মানুষদের মাঝে।
সোমবার (২০ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে (বিপৎসীমা ১৩.৩৫ মিটার)। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৬২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৫.২৫ মিটার)।
এদিকে কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই পানিবন্দী হয়ে পড়ছে অসংখ্য মানুষ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ২২ জুন পর্যন্ত যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশংকাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।