সীমানা জটিলতা মামলার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পাগলাকানাই ও সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে। তবে আঙুলের ছাপ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি হচ্ছে। তবুও দীর্ঘ ১১ বছর পর ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা।
ভোট দিতে আসা ৮০ বছরের বৃদ্ধ জাহেদা বেগম বলেন, ‘মেশিনের মাধ্যমে প্রথম ভোট দিলাম। ভোট দিতে একটু দেরি হলেও ভালো লাগছে।’
সকাল ৮টায় ভোটকেন্দ্রে এলেও দুই ঘণ্টায়ও ভোট দিতে পারেননি গযেশপুর গ্রামের ভোটার জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টায় এসে দাঁড়িয়েছি এখনো ভোট দিতে পারিনি। এত দেরি হলে ভোট দিতে মন চায় না। আর কিছু সময় দেখবো। না হলে ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরবো। বাড়িতে অনেক কাজ আছে।’
পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিতে অনেকে বুঝতে পারছে না। তখন তাদের বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। আবার অনেকের আঙুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে। এজন্যই মূলত দেরি হচ্ছে।
ইউনিয়ন দুটির রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, ইভিএম নতুন হওয়ার কারণে সকালের দিকে কিছুটা ধীর গতি ছিল। ধীরে ধীরে সেটি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে এখনো কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আসেনি। সুন্দরভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সহিংসতা রোধে ও শান্তি-শৃঙ্খলার জন্য দুটি ইউনিয়নের ১৯টি কেন্দ্রে ১৯৫ জন পুলিশ সদস্য, ৩২৩ জন আনসার সদস্য, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব, ১০জন নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে রয়েছে।’
দুই ইউনিয়নে ছয় জন চেয়ারম্যান পদে, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন ও সাধারণ পদে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।