করোনার সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেই ভারতে খোঁজ মিলেছে নোরোভাইরাসের। ইতোমধ্যেই কেরালায় দুই শিশুর মধ্যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। তাই সবাইকে সতর্ক করেছে সংশ্লিষ্টরা।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেন, নোরোভাইরাস অনেকদিন ধরেই রয়েছে। সাধারণত বড় বড় জাহাজে এই ভাইরাস আগে মিলত। এখন তো যেকোনো জায়গাতেই মিলছে।
তিনি আরও বলেন, এটি হলো আরএনএ ভাইরাস। ভাইরাসটি মূলত পেটে হামলা চালায়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে পাকস্থলী, খাদ্যনালীতে এই ভাইরাস হামলা চালায়।
কীভাবে ছড়ায়?
এ প্রসঙ্গে ডা. পাল জানান, খাবার, পানি ইত্যাদির মধ্যে এই ভাইরাস এসে মেশে। তারপর তা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সমস্যা তৈরি করে। তাই এখন থেকেই খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে।
ভাইরাসের লক্ষণ
নোরোভাইরাস সাধারণত পেটেই আঘাত আনে। তাই সমস্যা হয় পেটেই। এর লক্ষণ সম্পর্কে ডা. পাল জানান-
১. পেটে ব্যথা।
২. লাগাতার বমি হতে পারে।
৩. লুজ মোশান হতে পারে।
৪. থাকতে পারে জ্বর।
৫. শরীরে ব্যাথাও থাকা সম্ভব।
কীভাবে রোগ নির্ণয়?
ভাইরাসে আক্রান্তের বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে পিসিআর টেস্ট করা হয়। এক্ষেত্রে আক্রান্তের মল, বমির নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। আবার চাইলে খাবারের নমুনাও সংগ্রহ করে টেস্ট করা যায়। দুই ক্ষেত্রেই মিলতে পারে সঠিক ফল। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই।
চিকিৎসা কী?
এই রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে এখন বেশি কিছু জানা যায়নি। এক্ষেত্রে লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে হয়। অর্থাৎ পেট ব্যাথার জন্য এক ধরনের ওষুধ, বমির জন্য ওষুধ এবং পেট খারাপ থাকলে সেজন্য ওষুধ। এভাবে সিম্পটোমেটিক চিকিৎসা চালাতে হয়। আশার কথা হলো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী সুস্থ হয়ে যান বলে জানান ডা. পাল।
রোগ প্রতিরোধে
১. হাত ভালো করে ধোয়া।
২. বাসন ঠিকমতো পরিষ্কার করা।
৩. বিশুদ্ধ পানি পান করা।
৪. বিশুদ্ধ পানি দিয়ে রান্না করা।
৫. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
বিষয়গুলো মেনে চললেই এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।