সরকারি ব্রজমোহন কলেজে ছাত্র শিক্ষক চলাচলের পকেট গেট এবং অশ্বিনি কুমার ডিগ্রি হলের ছাত্রদের খাবার সুবিধার জন্য হল সংলগ্ন গেট বন্ধ করে দেয় হয়েছে।
গেট দুটিতে দেয়াল তুলে দেয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।ছাত্রদের পাশাপাশি অনেক শিক্ষকরাও হতাশা প্রকাশ করেছেন।বছরের পর বছর বৌদ্ধপাড়ার গেট দিয়ে সহজে চলাচল করা যেতো।
অভিযোগ উঠেছে পকেটগেট সংলগ্ন কলেজের বিশাল পুকুরে অবৈধভাবে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে গেটটিতে দেয়াল দিতে বাধ্য হয়েছেন কলেজ প্রশাসন।
বিএম কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা করে উল্লেখ করেন," হোস্টেলের ছাত্ররা যেনো বাইরে খেতে যেতে না পারেসেজন্য পকেট গেটে ওয়াল করার অনুমতি দিলেন?কোনো মহলকে খুশি করতে ২৮০০০ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে তামাশা করতে পারেন না।"
মিরাজুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন,"কলেজ কতৃপক্ষ যদি চিন্তা করেন পকেট গেট আটকিয়ে ক্যাম্পাসে গঁাজা ইয়াবা বহিরাগত আটকাবেন তাহলে সে চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন,যারা কলেজ ক্যাম্পাসে মাদকের নেশা করে তারা সামনের গেট থেকে বাইক নিয়ে আসে।
বৌদ্ধপাড়া নিবাসী এক মুসল্লি বলেন,"পকেট গেট দিয়ে বিএম কলেজের কেন্দ্রিয় মসজিদে অনেকেই নামাজে যান,ছাত্ররা বিভিন্ন কাজে বের হন।
ব্রজমোহন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ বিপ্লব ভট্টাচার্য জানান,"কলেজের সামনের গেটে কোনো সমস্যা হলে শিক্ষার্থীদের বের হওয়ার সুযোগ থাকবে না,এই পকেট গেট বন্ধ করতে হলে আপনাদের লাগতো না,শ্রদ্ধেয় হানিফ স্যার বন্ধ করে দিতেন।
বিএম কলেজের সাবেক অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন,"প্রতিক্রিয়া আমারো আছে,এটা কি ফিশারিজ ফার্ম, মাছ উৎপাদনের স্বার্থে পকেট গেট বন্ধ হলো"।
শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক জনাব আল আমিন সরোয়ার বলেন," কলেজ ক্যাম্পাস মাদকমুক্ত করতে গেট দুটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে,এছাড়া পূর্বে শ্রদ্ধেয় হানিফ স্যার কলেজের স্বার্থে একটি গেট বন্ধ করেছিলেন,যা এখনও বন্ধ আছে।তাছাড়া এই দুটি গেট ছাড়াও কলেজে আরও সাতটি গেট আছে।"
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন,"নিরাপত্তার কারনে পকেট গেট বন্ধ করা হয়েছে।কলেজের ৯ টি গেট কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো"