Can't found in the image content.
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
আলোচিত-সমালোচিত
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাছে পণ্য সরবরাহকারী মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট
পাওনার পরিমাণ ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে গ্রাহক ও মার্চেন্ট কোম্পানিগুলোর
দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৪৩ কোটি টাকা।
গত
২ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো শোকজের জবাবে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল
তৃতীয় চিঠিতে এ তথ্য দেন। আর এর মধ্য দিয়েই ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দায়-দেনা
বিষয়ক যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল সেটি শেষ হলো। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গত ১৯ আগস্ট
এবং ২৬ আগস্ট আরও দুটি চিঠিতে দুই ধরনের তথ্য সরবরাহ করা হয়। এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
ইভ্যালির বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করবে।
সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এম হাফিজুর রহমান
বলেন, আমরা ইভ্যালির কাছে যে তথ্য চেয়েছিলাম, সেটি তারা দিয়েছেন। এখন আমাদের আন্তমন্ত্রণালয়
কমিটি এসব তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় চূড়ান্ত করবেন।
এ
দিকে ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলমার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর এ দায়কে খুব বেশি বলে
মনে করছেন না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেন, ইভ্যালি উৎপাদনকারী ও
আমদানিকারকদের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসা করে। সরবরাহকারীরা গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে মুনাফা
অর্জন করে। তাই যে অর্থ বর্তমান দেনা হিসেবে আছে তা অতি স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য পরিমাণ।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি তার সম্পদ বিবরণীতে মোট দায় ও মূলধন দেখিয়েছিল ৫৪৩ কোটি ৯৯ লাখ
টাকা। এর মধ্যে মূলধন মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ৫৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকাই দায়। যা ইভ্যালির
কাছে গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো পায়। গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির
দায় দেখানো হয় ৩১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ
দেখানো হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে সম্পদ, কারখানা এবং উপকরণের মূল্য ধরা হয়েছে
১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর কারেন্ট অ্যাসেট বা চলতি সম্পদ দেখানো হয়েছে আরও প্রায় ৯০
কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি তাদের মোট ৪৩৮ কোটি টাকার অদৃশ্য সম্পদ দেখিয়েছে। এর
মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ডভ্যালু দেখানো হয়েছে ৪২২ কোটি টাকা।