১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
রবিবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপর বহিরাগত ছাত্রদল ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে করা এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি গঠন করেছেন স্বৈরাশাসক জিয়াউর রহমান। প্রমোদতরীতে গিয়ে জিয়াউর রহমান ছাত্রদের হাতে অস্ত্র আর অর্থ তুলে দিয়েছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই তিনি এ কাজ করেছেন। তার পথ ধরেই খালেদা জিয়াও ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের হাতে বই এবং কলম তুলে দিয়ে তাদেরকে সঠিক পথে চালিত করেছেন। এটাই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগকে তিনি শিখিয়ে গেছেন কীভাবে ছাত্র রাজনীতি করতে হয়। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মী হোক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার, মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার, নৈতিকতার প্রশ্নে আপোষহীন।
এ সময় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অকার্যকর করেছিলো। যারা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে, যাদের হাতে ৭৫ এর লাল দাগ লেগে আছে, তাদের শিক্ষাঙ্গনে ঢুকতে দেবেন না। অস্ত্র ধরা হাতকে যেখানে পাবে গুঁড়িয়ে দিবে, এতে ছাত্রলীগের কোনো দোষ থাকবে না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। মানববন্ধনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতাকর্মী, বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।