তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারাদেশে বিএনপি বিশৃংখলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে বহিরাগতদের নিয়ে সমাবেশ ঘটিয়ে সেখানেও তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এর পেছনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিশ্চয়ই হাত আছে। তারেক রহমান বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে করে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তাদের দলের যে সমস্ত সন্ত্রাসী আছে তাদের নির্দেশ দিচ্ছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশৃংখলার অপচেষ্টাকে প্রতিহত করবে।
শুক্রবার ২৭ মে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে টেনে বলেন,পদ্মাসেতু শুধু উন্নয়নযজ্ঞ নয় এটি বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতিক। এছাড়া বিএনপি ও ড. ইউনূছসহ ষড়যন্ত্রকারীদের গাত্রদাহ। এটি নিয়ে এখন আর কেউ মূখ খুলেন না। কারণ স্বপ্নের পদ্মাসেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, তারেকক রহমানের নির্দেশে বিএনপি দেশে আবারো একটি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সে জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের সামনেও তাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারেক রহমান নিজেই দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তাকে কিভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়টিও দেখছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করার ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে মায়া দেখিয়ে কারাগার থেকে বাহিরে রেখেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে কারাগার থেকে বাড়িতে আনার সুযোগ দিয়েছেন। কিন্তু তা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের যে বক্তব্য তা দেখে বেগম জিয়া পুনরায় কারাগারে পাঠানোর কথা গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে।
পদ্মাসেতু শুধু বিএনপির ঝালা নয় এটি ড. ইউনুছসহ আরও অনেকের গাত্রদাহ জানিয়ে তিনি বলেন, মিথ্যাচার করে বিএনপি নেতারা পদ্মাসেতু নিয়ে যে কথা বলেছেন তারা এখন আর মুখ খুলছেন না। কারণ তাদের মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়ে গেছে। তাই নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ খোঁজছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, অধ্যাপক ডঃ অনুপম সেন,জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জাতি সত্বার কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকে।