আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে মাফ করেছিল। তার ছেলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল। সেই তারেক রহমান যদি ক্ষমতা যায়, তাহলে আপনি কিংবা আমাকে হত্যা করতে হাত কাঁপবে না।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, সামনের ২০২৪ সালের প্রথম সাপ্তাহে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে একটি আসন যদি ছুটে যায়, আর ১৫১ আসন যদি আমরা না পাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ আবার পাকিস্তান হবে। আর তখন আমাদের অবস্থা কী হতে পারে ভেবে দেখেছেন। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নির্বাচনে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে পছন্দ না হলেও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা কল্পনা করার মতো না। আগে মানুষ তিন বেলা খেতে পারতো না। আগে যখন ভিজিএফের চাল নিত, তখন মহিলাদের গায়ে শুধু একটি কাপড় থাকত। এখন অনুষ্ঠানে যাওয়ার মতো করে ভিজিএফের চাল নিতে আসে, কে আমাদের নেতাকর্মী, কে চাল নিতে এলো চিনা যায় না
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান। সম্মেলনে প্রাধন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, এ. বি. এম. রিয়াজুল কবির কাওছার, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন প্রমুখ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম নূরু মিয়া।