ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে: চীন

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, মে ২৪, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে: চীন

ফাইল ছবি

তাইওয়ান ইস্যুতে আগুন নিয়ে খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে চীন। সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দফতর থেকে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এর আগে কোয়াড সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জাপান সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার তাইওয়ান ইস্যুতে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করলে সেটি যথাযথ হবে না। এটি সমগ্র অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। ইউক্রেনে যা ঘটেছে, এখানেও তাই ঘটবে। তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। স্বশাসিত দ্বীপটি রক্ষায় ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বাইডেনের এমন মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আগুন নিয়ে খেলার অভিযোগ তোলে চীন। একইসঙ্গে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে বিদ্যমান নীতিগুলো লঙ্ঘন করে এমন কোনও মন্তব্য বা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

চীনা স্টেট কাউন্সিলের তাইওয়ান বিষয়ক দফতরের দাবি, চীনকে দাবিয়ে রাখতে তাইওয়ান কার্ড ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন। কিন্তু তারা যে আগুন নিয়ে খেলছে সেটি তাদেরই দগ্ধ করবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে কেন্দ্র করে স্পটলাইটে আসে তাইওয়ান। এ অঞ্চলটিও তার বৃহৎ প্রতিবেশী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কিছু বিশ্লেষক এরইমধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া পরিস্থিতির সঙ্গে চীন-তাইওয়ানের বাস্তবতার মিল খুঁজতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই স্বনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলটিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং।

চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান চলে যান। এখনও তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করে। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ‘উভয় পক্ষের সর্বোত্তম স্বার্থে’ চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ‘শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের’ ওপর জোর দিয়েছেন। চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দফতর নিয়মিতভাবে অঞ্চলটির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে থাকে। বিশ্ব মানচিত্রে তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না বেইজিং।