ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

জোছনাভরা তিতুমীর ক্যাম্পাস

সিয়াম মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, মে ২১, ২০২২

জোছনাভরা তিতুমীর ক্যাম্পাস

ছবিঃ জাহিদুল খান এর তোলা

রাতের অন্ধকারে চাঁদের রুপালি আলো দেখতে কার না ভালো লাগে?

মন ভরে চাঁদ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীদের বরাবরই ভালো লাগে। আর সেই চাঁদ যদি হয় জোছনার আলো, তাহলে আর কি ঘরে বসে থাকা যায়? তাই প্রেমময় পরিবেশটা উপভোগ করতে সকলে নিজ ক্যাম্পাসে চলে এসেছে তিতুমীরিয়ানরা।

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো। সেই চাঁদ, সেই উছলে পড়া মায়াবী আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। 

চাঁদ যেন তার সৌন্দর্যের ভাণ্ডার নিয়ে এসেছে তিতুমীরিয়ানদের জন্য। চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত ক্যাম্পাস। 

আজকাল সন্ধ্যে হলেই দেখা যায়, চাঁদের আলো উপভোগ করতে এক-এক করে ক্যাম্পাসে চলে আসে তিতুমীরিয়ানরা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কলেজ এলাকার আশেপাশের অনেকেই আসেন শীতল বাতাসে চাঁদের সাথে নিজেদেরকে ক্যামেরাবন্দী করতে।  

জ্যৈষ্ঠের লম্বা গরমের দিনের কাজ শেষে রাতে জোছনার ঝলক অতন্ত্য প্রশ্রান্তিময়। আকাশ ঝকঝকে নীল। বাতাসে ফুলের সুবাস। বাতাসের তোড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘ। মৃদু বাতাসে গাছের পাতারা নড়ে। চারদিকে বইছে শীতল হাওয়া। নৈশব্দ চিরে অবিরাম ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনা যায়। চোখ জুড়ানোর মতই দৃশ্যটা।

এমন চোখ জুড়ানো রাত দেখেই হয়তো বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাঁকুর লিখেছিলেন,
"পূর্ণিমা সন্ধ্যায় তোমার রজনীগন্ধায়/
রূপসাগরের পারের পানে উদাসী মন ধায়...।"
মন এখন সেদিকে ধেয়ে যেতে চাইছে।

আকাশ থেকে মাটি অবধি চাঁদের আলো রুপালি রঙের গালিচা বিছিয়েছে মাঠের সবুজ গালিচার উপর। ভরা পূর্ণিমার জোছনা দেখছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ জানান, বহু রাত আমি আমার এনালগ আমলের কাঠের দোলনায় বসে আসমানের রুপার থালার দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হেসেছি, আবার সময় ভেদে হু হু শব্দে কেঁদে হয়রান হয়েছি। একই চাঁদ আর একই রাত, শুধু অনুভূতির একটু পরিবর্তন হলেই কত ভিন্ন রকমের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়। তাই প্রেমময় পরিবেশটা উপভোগ করতে ক্যাম্পাসে চলে এসেছি।

চাঁদের আলোয় রাতে ঘুরে বেড়ানো আনন্দদায়ক এবং সুখকর। চাঁদনী রাতে হাঁটা কেবল ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি এবং একঘেয়েমি দূর করে না বরং এটি আমাদের আত্মাকে উন্নত করে, আমাদের আত্মাকে প্রাণবন্ত করে এবং আমাদের মনকে সতেজ করে। চাঁদনী রাতে বায়ুমণ্ডল শান্তি ও নিস্তব্ধতা, শীতল বাতাস এবং চাঁদের শীতল রশ্মি, প্রকৃতির প্রতিটি বস্তুকে চুম্বন করে, একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে। চাঁদনী রাতে একজন সত্যিই রোমাঞ্চিত এবং স্বস্তি বোধ করে, একজন আনন্দের অনুভূতি অনুভব করে। যে এখানে আছে মনের স্বাধীনতা, চিন্তা ও ধারণার স্বাধীনতা। একটি চাঁদনি রাত আমাদের হৃদয় এবং আত্মাকে আনন্দিত করে। চাঁদনী রাতের নিস্তব্ধ শান্ত পরিবেশ বা দূরের আকাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য একটি মনোরম দৃশ্য উপস্থাপন করে।