শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা মোকাবিলা করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৯মে) সকালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সম্মেলন সামনে রেখে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলের ভেতরের সব কোন্দল মিটিয়ে যার যার অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।
৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ছয় বছর নির্বাসনে থেকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দেশের মাটিতে পা রেখেই কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার শপথ নেন শেখ হাসিনা। এরপর সারাবাংলায় ঘুরে ঘুরে দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছিলেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গোটা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অর্জনে বিশ্বের বিস্ময়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই সকল ষড়যন্ত্র ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
আগামী মাসেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত করা সাপেক্ষে শিগগির সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রমত্তা পদ্মা নদী প্রবল খরস্রোতা থাকায় নদীর এপার-ওপার ভাঙা-গড়ার খেলায় অনেক কষ্টে এই ভাঙনের মধ্যে কাজ করতে হয়েছে।
প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চ্যালেঞ্জ করে বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে এই প্রকল্প কাজ শেষ করা হয়েছে।
সফলভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক , সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।