লক্ষ্মীপুরে সরকারি কর্মকর্তার জমি জবর দখল করে অভৈধ ভাবে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
পৌর শিশু পার্ক সড়কে শাহাজান ও শহিদুল ইসলামের জমিনের উপর জোর করে ঘর নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে।জানা যায় ২০০০ সালে দলিলুদ্দিন ভুইয়ার ওয়ারিশদের থেকে সহিদুল ইসলাম, শাহজাহান, ও খলিলুর রহমান ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে যাহার S A খতিয়ান ১১৬৩ এবং দাগ নং ৮০৪৩।
খরিদকৃত মালিকগন তাদের নিজেদের নামে আলাদা আলাদা করে খতিয়ান করেন। খরিদ সুত্রে উক্ত জমিনের মালিক হচ্ছে, মোহাম্মদ শাহাজান পিতা মৃত-নুর মিয়া হাওলাদার সাং পশ্চিম দিঘলী, জমির পরিমান ৬.৫০ শতক,খতিয়ান নং ৪৯৩৪ তাং১৩/২/২০০৮,মো: খলিলুর রহমান পিতা-মৃত আনোয়ার উল্যা,মোসাম্মৎ রিয়াদ রেহান পতি খলিলুর রহমান,সাং পশ্চিম দিঘলী, জমির পরিমান ১৩ শতাংশ, খতিয়ান নং-৪৮৩৬,তাং-২/১২/২০০৭, এবং মোসাম্মৎ সেলিনা আক্তার পতি শহীদুল ইসলাম সাং পাঁচ পাড়া,জমির পরিমাণ ৬.৫০ শতাংশ, খতিয়ান নং ৪৭৪৬,তাং ৯/৯/২০০৭।
উক্ত ব্যক্তিগন জমিন খরিদ করিয়া ভোগদখল করে আসছে। এমতাবস্থায় বর্তমানে বশির মাষ্টার ও তাহার ছেলেরা জোর পূর্বক দখল ও নির্মাণ কাজ করার চেষ্টা করছে। ক্রয়কৃত মালিকগনের অভিযোগ, উক্ত জমি নিয়ে তাদের সাথে বিভিন্ন দপ্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কোনো আইনই মানছেন না তারা, এসবের তোয়াক্কা না করে জোর পূর্বক আমাদের খরিদ কৃত সম্পত্তির দখল করার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। পাশাপাশি আদালতের মামলাকে তোয়াক্কা করছেনা। আমরা কি জমিন খরিদ করে এভাবে প্রভাবশালীদের হাতে হয়রানির শিকার হব?
১১৬৩ খতিয়ানে ৮০৪৩ দাগে জমি ২৬ ডিং,
জমি ২০০০ সালে মুল মালিক গং তিনজনের কাছে বিক্রিয় করে ঐ তিন জনের নামে ২০০৭/ ২০০৮ সালে জমাখারি খতিয়ান করাও হয়েছে এবং বর্তমানে ছাপা খতিয়ান ঐ তিনজনের নামে হয়েছে।
এবিষয়ে পৌর ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, ওনাদের তিনজনের নামে জমা খারিজসহ সকল কাগজপত্র করা আছে।
দলিল উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে বাবুল ভুঁইয়া জানান আমাদের জমি নিষ্কন্টক, এবং আমরা ছাড়া আর কোন মালিক নাই।
যারা এখন এখানে দখল করতে আসছে তারা জবর দখলকারী, তাদের কোন আইনি ভিত্তি নাই।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিপক্ষ সাজ্জাদের পিতা বশীর মাষ্টারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমরাও দলিলুদ্দীন ভুঁইয়ার ওয়ারিশদের থেকে ভূমি কিনে সেখানে ঘর নির্মাণ করছি।