ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

চিরচেনা রুপে তিতুমীর কলেজ

সিয়াম মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, মে ১৮, ২০২২

চিরচেনা রুপে তিতুমীর কলেজ
গাছে নতুন পাতা, মৌসুমি ফলে টইটম্বুর গাছ। ডালে ডালে ফুলেরা সেজেছে আপন মহিমায়। মাঠের দূর্বা ঘাস দেখে যেন মনে হয় সবুজ গালিচা।যে গালিচা বরণ করে নিচ্ছে ৬৩ হাজার শিক্ষার্থীকে। এমনই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের দেখা মিলবে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে। যেন প্রাণ ফিরেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের মনে।

করোনার দরুন র্দীঘ একটা সময় কেটেছে ক্যাম্পাসও ক্লাস থেকে অনুপস্থিতি। যে অনুপস্থিতি ক্ষতবিক্ষত করেছে শিক্ষার্থীদের হৃদয়। করোনা বাধা দিয়েছিলো হাজারো শিক্ষার্থীর নিকট ভবিষৎ এর স্বপ্নে। তবে ধীরেধীরে করোনার ভাটা কাটিয়ে উঠেছে দেশ। পদচারণা বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও।

বাংলায় জৈষ্ঠ্যমাস। গ্রীষ্মের তাবদাহের অতিষ্ট ঢাকার নাগরিক জীবন।এই ভ্যাপসা গরমের মাঝেও ক্যাম্পাসে প্রাণের সজীবতা নিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ঈদের পরে ক্যাম্পাসে বেড়েছে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। 

ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হতে থাকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন। সকালে ক্লাস শেষে ভ্যাপসা গরমে উপেক্ষা করেই মাঠে খেলাধুলা করছেন, বন্ধুদের সাথে দিচ্ছে আড্ডা। কেউ কেউ তুলছেন গ্রুপ ছবি। যেন মুঠোফোনের এলবামে রাখা হবে হাজারো স্মৃতি।

কেউ কেউ কলেজ গেইটের পাশে বসে বই পড়ছে। শহীদ বরকত অডিটেরিয়ামের সামনে চলছে সাংবাদিক সমিতির কর্মশালার রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম, তারই পাশ দিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নিয়মিত মহড়া চলছে। আবার কেউ কেউ তার প্রেয়সীর হাতটি ধরে দিব্যি ঘুরছেন ক্যাম্পাসে। কেউ বসে আছে শাকিল চত্বর, কেউ বা বেলায়েত চত্বরে। গুটিকয়েকজনকে মাঠে ক্রিকেট খেলতেও দেখা গিয়েছে। 

হাসি-আড্ডা-পড়াশোনা-স্লোগানে মুখরিত ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। ছাত্রলীগ চত্বরে এসে আবার দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র, রাজনৈতিক মহড়া শেষে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গিটার হাতে সুরে সুর মিলিয়ে মনে সুখে তালে তাল মিলিয়ে গান গেয়ে তপ্ত দুপুর উপভোগ করছে। শেখ রাসেল পুষ্পকাননের পাশে গাছের ছায়ায় বসে কেউ কেউ জামরুল-আম-কাঠালের ঘ্রাণে মিশ্রিত সুভাষিত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। তারই পাশে গীষ্মের তাপে আলো ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল গাছ।

এই বিষয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা জানান, করোনার পর কলেজ খোলার পরও প্রথম মুহূর্তে কিছুটা শঙ্কিত থাকার কারণে সকল শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করেননি। তাছাড়া, কলেজ খোলার পরপরই বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা চলেছে, তখন ক্যাম্পাসে খুব একটা সময় কাটানোর সুযোগ হয় নি। এরপর রমজান মাস চলে এসেছে, রোজার সময় রোজা রেখে ক্লাস করতে না চাওয়া এবং বেশিদিন সরকারি ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা খুব বেশি ক্লাস করেননি। তাই এখন ঈদের পর কলেজে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সকল শিক্ষার্থীরায় এখন ক্লাস করতে কলেজে আসছে। এতে কলেজের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।