যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা চাঁদের মাটিতে বীজ রোপন করেছিলেন। সেখান থেকে চারাগাছ জন্মালেও বৃদ্ধির হার বেশি ছিল না। তবে হয়ত একদিন চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব- এটি তারই লক্ষণ।
১৯৬৯ ও ১৯৭২ সালের তিনটি অ্যাপোলো মিশন চাঁদ থেকে মাটি সংগ্রহ করেছিল। মার্কিন মহাকাশ সংস্থার নাসার কাছে আবেদন করে ১২ গ্রাম চাঁদের মাটি পেয়েছিলেন গবেষকরা। এরপর এক গ্রাম কন্টেনারে অ্যারাবিডপসিস জাতের গাছের বীজ রোপন করা হয়।
পাশাপাশি আগ্নেয়গিরির ছাইয়েও কিছু বীজ লাগান তারা। এরপর গবেষকরা দেখতে পান ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চাঁদের মাটি ও আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে লাগানো বীজ থেকে চারাগাছ গজিয়েছে।
কিন্তু কয়েকদিন পর দেখা যায়, ছাইয়ের চেয়ে চাঁদের মাটিতে জন্মানো চারাগাছের বৃদ্ধি কিছুটা কম।
গবেষণার ফলাফল কমিউনিকেশন্স বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনের সহলেখক রব ফার্ল বলেন, চাঁদের মাটিতে চারাগাছ যে গজিয়েছে সেটিই একটি ইতিবাচক বিষয়। তবে পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া গাছ চাঁদের পরিবেশে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
চাঁদে ফসল ফলানো সম্ভব হলে সেখানে মিশনে যাওয়া নভোচারীরা নিজেদের খাবার নিজেরাই ফলাতে পারবেন। এছাড়া বাতাস বিশুদ্ধ করতে ও বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সরাতে এটি নভোচারীদের সহায়তা করবে।
এ বছরই আর্টেমিস কর্মসূচির আওতায় চাঁদে একটি মিশন পাঠাচ্ছে নাসা ও ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা। যদিও সেখানে কোনো নভোচারী থাকছেন না। তবে এ দশকের শেষ নাগাদ চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।