দেশের ভূখণ্ড রক্ষা ও সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়াতে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে আফগানিস্তান। ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে।
ইসলামিক আমিরাতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর টোলো নিউজের।
বিবৃতিতে বলা হয়, এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সেনা ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশটির লক্ষ্য, এক লাখ ৫০ হাজারের মতো সেনা নিয়োগ দেওয়া।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইনায়েতুল্লাহ খাওয়ারজামী বলেন, এক লাখ ৩০ হাজারের মতো সেনা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে আফগানিস্তান একটি স্বাধীন, সুগঠিত এবং নিবেদিত সেনাবাহিনী দেখতে পাবে যারা দেশ রক্ষার পাশাপাশি সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
যদিও সেনাবাহিনীর পোশাক কেমন হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
খাওয়ারজামী বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক নারী কর্মীরা এখনও বেতন পাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে কিছু এখনও মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন।
অভিজ্ঞদের পরামর্শ হলো— পেশাদার ও অভিজ্ঞদের যেন সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়।
সামরিক বিষয়ে অভিজ্ঞ আসাদুল্লাহ নাদিম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে— শিক্ষা, পেশাদারী প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা, সরঞ্জাম এবং বাজেট।
সামার সাদাত নামের অপর একজন বলেন, একটি নিরপেক্ষ, আন্তরিক, পেশাদার এবং স্বাধীন সেনাবাহিনী গঠন করা উচিত।
সাবেক সরকারের আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সের (এএনডিএসএফ) সদস্য ছিল সাড়ে তিন লাখের বেশি। এএনডিএসএফ ভেঙে পড়ার পর বহু সেনা সদস্য বর্তমানে গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন।