কুখ্যাত হলিডে পত্রিকা ও কুখ্যাত নিউ এজ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি তৈরির অন্যতম নাটেরগুরু স্বাধীনতাবিরোধী এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, খুনি জিয়ার অবৈধ সামরিক সরকারের মন্ত্রি হিসাবেও জিয়ার সকল অপকর্মের সঙ্গী ছিলো এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; আর এই এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টুর নামেই মাত্র পঁচিশ লাখ টাকার বদৌলতে ট্রাস্টফান্ড গঠন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অন্যতম ইনদনদাতা ছিলো এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, দেশের শিক্ষাবিদ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের তথ্য পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয় এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, পুরস্কারস্বরূপ জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির কাছে বিশেষ অর্থ লাভ; পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পটভূমি তৈরির পেছনেও আইএসআই-এর সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কুখ্যাত হলিডে পত্রিকাকে ব্যবহার করে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু।
সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকা ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সরকার ও জাতীয় রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে লাগাতার গুজব ছড়িয়ে যায়, সেই সময়ে সিআইএ ও আইএসআই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে এসব অপকর্ম করেছিলো এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, পরে তাকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রমাণসহ আটক করা হয় এবং সাপ্তাহিক হলিডে নিষিদ্ধ করা হয়।
এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু সিআইএ ও আইএসআই-এর ফান্ডে Civil Liberty and Legal Aid Committee নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলে, এই সংস্থার সমন্বয়কারী হিসেবেও কাজ করে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, সংগঠনটি বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক আটক কুখ্যাত রাজাকার ও আলবদর পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মিশন পরিচালিত করে, ১৯৭৪ থেকে পঁচাত্তরের আগস্ট পর্যন্ত চরম মাত্রায় বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে একের পর এক গুজব তৈরি করে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পূর্বে কয়েক দফায় বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সঙ্গেও মিটিং করতে দেখা যায় এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টুকে।
এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু ১৯৭৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত খুনি জিয়ার নির্দেশে বাংলাদেশ টাইমসের সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে, পরে ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত খুনি জিয়ার মন্ত্রিসভায় পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; খুনি জিয়ার সকল অপকর্মের সঙ্গী এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু।
পরবর্তীকালে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু মিয়ানমার, চীন, কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে; খুনি জিয়ার আমলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করে এবং বিশ্ববেহায়া এরশাদের দয়ায় ঢাকা ক্লাবের সভাপতি হিসাবেও ১৯৮৪-১৯৮৫ মেয়াদে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে।
১৯৭৬ সালে তিনি জাতীয় বেঈমান মাওলানা ভাসানী এবং খুনি জিয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করার মিশনে সফল হয় এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; পরবর্তীকালে বিশ্ববেহায়া এরশাদের ঘেঁটুপুত্রদের মধ্যেও অন্যতম ছিলো এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু।
এরশাদের পতনের পর জঙ্গিমাতা খালেদার ঘনিষ্ঠজনে পরিণত হয় এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু, কুখ্যাত প্রধান বিচারপতি মুহম্মদ হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে প্রধান যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নেপথ্য অনুঘটক ছিলো এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; দেশবিরোধী সকল অপকর্মের সঙ্গে এভাবেই নিজেকে নিবিরভাবে জড়িয়ে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু।
২০০১ সালের কারচুপির নির্বাচনে সিআইএ ও আইএসআই লবিʼর অন্যতম ক্রীড়নক হয়ে ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা রʼকেও দলে টেনে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিজোটকে ক্ষমতার মসনদে বসানোরও অন্যতম কারিগর এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টু; জঙ্গিমাতা খালেদা ও জঙ্গিরাজ খুনি তারেকের সরাসরি সহযোগিতায় ২০০৩ সালে নিউ এজ পত্রিকার প্রকাশনার সূচনা করে পুনরায় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তৃত করে।
কুখ্যাত স্বাধীনতাবিরোধী এনায়েতউল্লাহ খানের যাবতীয় ষড়যন্ত্র ও অপকর্মের খুব সামান্যই তুলে ধরলাম, এতবড় একজন স্বাধীনতাবিরোধীর নামে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এই ঘৃণিত স্বাধীনতাবিরোধীকে মূলত সম্মান জানালো, এই নোংরা উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক চরিত্রের সঙ্গে বেমানান; অবিলম্বে এনায়েতউল্লাহ খান মিন্টুর নামে ট্রাস্ট ফান্ড বাতিল করতে হবে।
ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত