Can't found in the image content. অবিবাহিত হতে হবে, এই বিধি বা নিয়মটি বাদ দেয়া উচিত। | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

অবিবাহিত হতে হবে, এই বিধি বা নিয়মটি বাদ দেয়া উচিত।

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, মে ১২, ২০২২

অবিবাহিত হতে হবে, এই বিধি বা নিয়মটি বাদ দেয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের সহযোগি বা ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হচ্ছে ছাত্রলীগ। 

ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতে তিনটি শর্ত খুব কঠিন ভাবে জুড়ে দেয়া রয়েছে। 

তিনটি নিয়ম হলো, এক নিয়মিত ছাত্রত্ব, দুই বয়স ত্রিশের নিচে আর তিন অবিবাহিত  থাকতে হবে। 

প্রথম ও দ্বিতীয়টি ঠিক আছে। এটা ভালো নিয়মই। নিয়মিত ছাত্রত্ব, বয়সের কাঠামো ছাত্র রাজনীতিতে থাকা দরকার এবং এটা অনেকটা আইনসম্মতও। 

অবিবাহিত হতে হবে, এই বিধি বা নিয়মটি বাদ দেয়া উচিত। এটা সময়াপোযোগী সিদ্ধান্ত না। সময়ের সাথে সাথে এটা এখন আর যায় না। কারন রাজনীতি এখন অনেক করপোরেট ও বাণিজ্যিক। 

বাংলাদেশ সরকার বিয়ের বয়স ছেলেদের ২১ আর মেয়েদের ১৮ বছর নির্ধারণ করেছে। সে হিসেবে একুশের পরেও বিয়ে সংগঠন করতে বাধা হিসেবে নিয়ম করা আইন বিরোধী সিদ্ধান্ত। একই সাথে সংবিধানের মৌলিক অধিকারে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ তার ইচ্ছে ও পছন্দমতো পরিবার গঠন করতে পারবে। ছাত্রলীগের বয়সের ফ্রেম অনুযায়ী অবিবাহিত থাকা বাধ্যতামূলক করা সংবিধান পরিপন্থীও। 

ধরে নিচ্ছি, ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে অবিবাহিত থাকার ইতিবাচক দিক হচ্ছে, সংগঠনকে বেশি সময় দিতে পারবে, পিছুটান কম থাকবে। যদিও রাজনীতিতে এসব যুক্তি খুব হালকা ও আপেক্ষিক।

যে ছেলে বা মেয়ে সংগঠনের জন্য বিয়ে করে না, সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে চায়। তাদের পরবর্তী জীবন গঠনের কোনো রকম দায়িত্ব তো সংগঠন নেয় না। 

সংগঠন তো চাকরিও দেয় না। ব্যবসা করার সুযোগও করে দেয় না। বিয়ে করতে লোনও দেয় না। মেয়েও ঠিক করে দিবে না। জীবন গঠনের কোনো ভূমিকাতে সংগঠন পাশে থাকে না। সুতরাং ছাত্রলীগ করতে হলে অবিবাহিত থাকতে হবে ত্রিশ বছর পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য নয়। এসব নিয়ম বিভিন্ন সময় ভালো ছেলে মেয়েদের বাদ দিতেই করা হয়েছে। এটাই ভেতরের খেলা, বলা হয় ভিন্ন কথা। 

যে রাজনীতি, যে সংগঠন আমার ক্যারিয়ার গঠনে কোনো সহায়ক ভূমিকা রাখে না সেই সংগঠনের এতো নিয়ম মেনে চলারও কিছু নাই।
জাহিদ হাসান, সাংবাদিক  ও সাবেক ছাত্রনেতা