পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন লাহোরের একটি বিশেষ আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানিতে তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ মে তাদের বিরুদ্ধে ১৬ বিলিয়ন রুপির মানি লন্ডারিং মামলা করা হবে।
আদালতের লিখিত আদেশে বলা হয়েছে, 'এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, পরবর্তী শুনানিতে অভিযোগ গঠন করা হবে এবং সব অভিযুক্তকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে হবে।'
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে শাহবাজ এবং তার ছেলে হামজা ও সুলেমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী আইনের ৪১৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১, ৩৪ ও ১০৯ ধারায় এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা করে। সুলেমান শাহবাজ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে পলাতক রয়েছেন।
দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ও ৫(৩) (ফৌজদারি অপরাধ) আইনে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি আরও ১৪ জনের নাম উল্লেখ করেছে।
পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত গত ২৭ জানুয়ারি এ মামলায় শাহবাজ ও হামজাকে গ্রেফতার-পূর্ব জামিন দেন।
শাহবাজ ও হামজার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
চিনি কেলেঙ্কারি মামলায় ১৬ বিলিয়ন রুপি সাদা করার অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ ও হামজার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ আদালতে চালান জমা দেয় এফআইএ।
তদন্তকারী দল শাহবাজ পরিবারের ২৮টি বেনামি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে। যেগুলোর মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬ দশমিক তিন বিলিয়ন অর্থ লন্ডারিং করা হয়। এফআইএ এ সম্পর্কিত ১৭ হাজার লেনদেন শনাক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই অর্থ 'গোপন অ্যাকাউন্টে' জমা রাখা হয়েছিল।
এফআইএর অভিযোগ, শাহবাজ পরিবারের চিনির ব্যবসার সঙ্গে ১৬ বিলিয়ন অর্থের কোনো সম্পর্ক নেই। শাহবাজের স্বল্প বেতনের কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওই অর্থ হুন্ডি ও হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাকিস্তানের বাইরে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
'শরিফ গ্রুপের ১১ জন স্বল্প বেতনের কর্মচারী, যারা প্রধান অভিযুক্তের পক্ষে পাচার হওয়া অর্থ 'দখলে' রেখেছিলেন। অর্থপাচারে সহায়তা করার জন্য তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। শরিফ গ্রুপের অন্য তিনজন সহঅভিযুক্তও সক্রিয়ভাবে অর্থপাচারে সহায়তা করেছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র: ডন