ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর থেকে তিনি বলে আসছিলেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই সাংকেতিক চিঠিটিকে ভুয়া জানিয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, চিঠিটি যদি সত্যি হয়, তাহলে তিনি এসে ইমরান খানের দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
শাহবাজের এমন বক্তব্যের পর শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আমার কাছে আসবেন না। এ রকম একজন চোরকে (শাহবাজ শরিফ) আমার সঙ্গে নিতে পারি না। চিঠিটিকে ভুয়া বলার জন্য অবশ্যই শাহবাজ শরিফকে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ইমরানের উত্থাপিত মার্কিন ষড়যন্ত্রতত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। এর একদিন পর শনিবার ইমরান খান বললেন, এনএসসির বিবৃতিই প্রমাণ আমার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে মার্কিন ষড়যন্ত্র ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপরই ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর বিষয়টি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে যায়। টানা ৫ দিন শুনানির পর ৭ এপ্রিল আদালত অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আদেশ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং ৯ এপ্রিল সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন। ভোটে ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোট দেন। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হলো। একইসঙ্গে পাকিস্তানের নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস