ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

আটকে পড়া ১ লাখ বাসিন্দার জীবন পুতিনের হাতে : মারিউপোলের মেয়র

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, এপ্রিল ২২, ২০২২

আটকে পড়া ১ লাখ বাসিন্দার জীবন পুতিনের হাতে : মারিউপোলের মেয়র
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একাই ইউক্রেনের যুদ্ধ বিধ্বস্ত মারিউপোলে আটকে থাকা এক লাখ বেসামরিক লোকের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন শহরটির মেয়র ভাদিম বোইচেঙ্কো।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

ভাদিম বোইচেঙ্কো বলেন, স্যাটেলাইটের ছবি প্রমাণ করে যে রাশিয়ান সৈন্যরা প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আড়াল করতে মৃতদেহ গণকবর দিচ্ছে।

এর আগে প্রায় দুই মাস অবরুদ্ধ রাখার পর মারিউপোলের যুদ্ধে নিজেদের জয়ী দাবি করেছেন পুতিন। প্রচণ্ড বোমাবর্ষণে, যেসব নাগরিক শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যাননি, তারা বিদ্যুৎ ও পানিসহ প্রয়োজনীয় জরুরি সেবা বঞ্চিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সাক্ষাৎকারে বোইচেঙ্কো বলেন, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে সেখানে এখনও মানুষ রয়েছে, তাদের জীবন শুধু একজন মাত্র ব্যক্তির হাতে - ভ্লাদিমির পুতিন। এখন থেকে যেসব প্রাণহানি ঘটবে, তা-ও তার হাতেই নির্ভর করছে।

বৃহস্পতিবার পুতিন বলেন, রুশ সেনারা মারিউপোলকে 'মুক্ত' করেছে। যা মস্কোর 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার হাতে পতন হওয়া সবচেয়ে বড় শহর। তবে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

বোইচেঙ্কো বলেন, শহরটি মুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এটি ছিল ধ্বংস করার পরিকল্পনা।

২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বন্দর শহরটির ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে বলে অনুমান করছেন তিনি।

মারিউপোলের মেয়র বলেন, আজ সব পর্যায়ে আমরা শুধু একটি বিষয়ে কথা বলতে চাই- আমাদের যুদ্ধবিরতি দরকার, আমাদের এক লাখ বাসিন্দাদের সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া দরকার, যারা রাশিয়ান বাহিনীর হাতে বন্দি এবং আমাদের আজভস্টালে থাকা সব লোককে মুক্ত করা প্রয়োজন।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথয অনুযায়ী, যদিও রাশিয়ান সৈন্যরা এখন শহরের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে, কিন্তু ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের একটি দল আজভস্টাল স্টিল কমপ্লেক্সের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে শত শত বেসামরিক নাগরিকের সঙ্গে অবস্থান করছে। পুতিন ইউক্রেনীয় সৈন্যদের উদ্দেশে বলেন, অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করতে, অন্যথায় তাদের মরতে হবে।

বোইচেঙ্কো বলেন, সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করবে না, তারা কেবল হাতে অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে যেতে চায় এবং আমাদের স্বদেশ, আমাদের ইউক্রেনকে রক্ষা করতে চায়।

বোইচেঙ্কো বলেন, শহরে আটকে পড়াদের সাহায্যে কিছু করার বিষয়ে এখনও আশাবাদী তিনি।

সূত্র : রয়টার্স