Can't found in the image content. ‘হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ দুদকে’ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪ |

EN

‘হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ দুদকে’

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, এপ্রিল ২২, ২০২২

‘হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রমাণ দুদকে’

লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান

চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে সরকারের ‘কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাত’র প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে অগাধ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ অনুসন্ধানে সম্প্রতি চাঁদপুরে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযোগের বিষয় ছিল-চাঁদপুর প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণে কারসাজি ও মেঘনা-পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা।

সচিব আরও বলেন, সেলিম খানের বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি অধিগ্রহণে সরকারনির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে ১৩৯টি উচ্চমূল্যের দলিল কারসাজির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা ক্ষতির ষড়যন্ত্রের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া মেঘনা নদীতে প্রায় ২০০ ড্রেজার দিয়ে দিন-রাত নির্বিচারে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে সরকারের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদকের অভিযানে যে দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হয়েছে তার আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা।

দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম ৬ এপ্রিল চাঁদপুরে অভিযান চালায়। অভিযানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জমি অধিগ্রহণ ও বালু উত্তোলন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা রেজিস্ট্রারসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা ও তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পায় এনফোর্সমেন্ট টিম। এ বিষয়ে শিগগিরই কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে টিম।