প্রায় দুই মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর মারিউপোল দখলে নিয়েছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে মারিউপোল দখলের খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের হাত থেকে মারিউপোল ‘স্বাধীন’ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ওই শহরের আজোভস্তাল স্টিল প্লান্ট কারখানায় পালিয়ে থাকা প্রায় দুই হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে অবরুদ্ধ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
সের্গেই সোইগু আরও জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ওই কারখানা এমনভাবে অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে সেখান থেকে একটি মাছিও বের না হতে পারে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে ইউক্রেনের ২৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনও দাবি করে, যুদ্ধে রাশিয়ার ২০ হাজার ৯০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র: তাস