চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাষ্ট্রিজ ইয়ার্ডের স্ক্র্যাপ জাহাজে ডাকাতির অভিযোগটি ওসিকে সরাসরি এজাহার হিসেবে দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২১ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালত ফার্দিন মুস্তাকীম তাসিন এর আদালত বাদীর অভিযোগ শুনানী শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় অভিযোগকারী সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পক্ষে সহকারি ম্যানেজার মোঃ হারুনুর রশিদ (২৮) এর সিআর মামলাটি শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবি ও মানবাধিকার কর্মী এ এম জিয়া হাবিব আহসান।
আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের চানমুন দাশের ছেলে বিকাশ দাশ (৩৪), একই গ্রামের ননা মিয়ার ছেলে রাসেল (২৮) ও জতিস দাশের ছেলে দিলিপ দাস (৩৬) সহ আরো ১০/১২জন।
আদালতে দায়ের করা মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে সীতাকুন্ড থানাধীন সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ এর শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে থাকা স্ক্র্যাপ জাহাজ এশিয়ান গ্লোরীতে উল্লেখিত আসামীসহ নাম অজানা ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল হামলা করেন।
এতে জাহাজের বিভিন্ন জায়গার রশি নিক্ষেপ করে জাহাজে উপর ওঠে পড়ে ডাকাতদল। জাহাজে থাকা ইনচার্জ ধর্মজয় ও গার্ড সৃজন কুমার বাগচী, বাপ্পী, সুমন ও বনক চিৎকার করলে ডাকাতেরা তাদের ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক জখম করেন।
এক পর্যায়ে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাণের ভয় দেখিয়ে ডাকাতেরা ষ্টোরে রুমের তালা ভেঙে জাহাজে থাকা পিতলের বুস, গেইট বাল্ব, পাম্প মেশিন, ফ্লাগ, এস এস ও তামাসহ আনুমানিক ৭ মেট্রিক টন ওজনের মালামাল লুঠ করে অন্য ট্রলারে তুলে পালিয়ে যান। আদালতের কাছে লুঠ করা মালামালের আনুমানিক মূল্য দেখানো হয় ৪৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
পরে ইয়ার্ডের ম্যানেজার শহিদুর রহমান আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতরা চিকিৎসা নেন বলে জানান।
এ ঘটনায় সিমনী শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পক্ষে সহকারি ম্যানেজার মোঃ হারুনুর রশিদ বাদি হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসিকে সরাসরি মামলা হিসেবে গণ্য করতে আদালত নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে আইনজীবি এ এম জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘আসামিরা যেহেতু সংঘবন্ধভাবে ডাকাতি করে জাহাজের মালামাল লুটপাট করেছেন। সে হিসেবে ডাকাতি ও মারধর করার অভিযোগটি আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়। যাতে সরাসরি এফআইআর হিসেবে আমলে নেওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত এজাহার হিসেবে নিতে সীতাকুন্ড থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।’
সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র এখনো থানায় আসেনি। আসলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’